২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের ঘটনায় জ্যাকলিনের সঙ্গে নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। -ফাইল চিত্র
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে মানহানির মামলা করলেন নোরা ফতেহি। নোরার দাবি, ‘নোংরামি’ চলছে! নিজের স্বার্থে তাঁর কেরিয়ার এবং মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি করছেন জ্যাকলিন।
কয়েক মাস আগের ঘটনা। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের ঘটনায় জ্যাকলিনের সঙ্গে নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর মূল সন্দেহভাজন হলেও, তাঁর সঙ্গে সংযোগ থাকার কারণে দুই অভিনেত্রীকেও তলব করা হয়েছিল। যাতে বেশি জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বেশ কিছু অবৈধ সম্পত্তি উপহার হিসাবে তাঁর কাছেও চলে আসে। এতেই ফেঁসে যান অভিনেত্রী। থানাপুলিশ চলতে থাকে প্রায় গোটা বছর। ইতিমধ্যে আইনজীবী মারফত প্রকাশ্যে আসে জ্যাকলিনের এক বয়ান, যেখানে তিনি জানিয়েছেন, সুকেশের থেকে অনেক তারকাই উপহার নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নোরা ফতেহিও। শুধু শুধু একা তাঁকেই দোষারোপ করা হচ্ছে কেন?
এতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন নোরা। তাঁর বক্তব্য, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সুকেশের সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন ছিল না। উপহারও নেননি। বরং সুকেশের স্ত্রী লেনা মারিয়া পলের সঙ্গেই আলাপ ছিল বলে জানান নোরা। তাঁর দাবি, অকারণে তাঁকে এই ‘পাঁকে’ জড়িয়ে হেনস্থা করতে চাইছেন জ্যাকলিন।
সুকেশের প্রাক্তন প্রেমিকা তথা জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে নোরা বলেন, “জ্যাকলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে কেরিয়ার নষ্ট করছে। সেটা অবশ্য ওর কাছের মানুষের জন্যই করছে। সুকেশ আর ও দু’জনেই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। একই অতীত। যা করছে, ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে এই নোংরামির মধ্যে জড়ানো কেন?” সেই মর্মে নিজেকে এই মামলা থেকে মুক্ত করার আবেদন জানালেন অভিনেত্রী।
১২ ডিসেম্বর সকালে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন জ্যাকলিন। আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে সম্পূর্ণ চার্জশিট জ্যাকলিনের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই বিচারপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি পিছিয়ে দেন। সেই পরিস্থিতিতে সোচ্চার হলেন নোরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy