ভিডিয়ো যাঁরা পোস্ট করেন তাঁদের বলা হয় ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’। এঁরা পোস্টের বিনিময়ে টাকা পান। পোস্ট যত বেশি মানুষ দেখবেন, অর্থের পরিমাণ তত বাড়বে। অতিমারী চলাকালীন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। অতিমারী পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে যাওয়া অনেককেই উপার্জনে সাহায্য করেছে এই ওয়েবসাইটটি। তবে তার সুযোগে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিয়োর সংখ্যাও।
কিছু দিন আগেই হলিউডের এক অভিনেত্রী বেলা থর্ন স্রেফ এক দিনে এই ওয়েবসাইট থেকে ১০ লক্ষ ডলার উপার্জন করেছেন। বেলার উপার্জনের বহর দেখে নীতি বদলাতে বাধ্য হয় ওয়েবসাইটটি। এক দিনে একজন তারকা ১০ লক্ষ ডলার আয় করলে, তার জোগান আসবে কোথা থেকে! বেলার ঘটনার পর তাই দৈনিক সর্বোচ্চ উপার্জনের উপর একটা সীমারেখা টেনে দিয়েছিলেন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ।
তবে এই সব তারকা কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ছবি বা ভিডিয়ো শেয়ার করেন না। এক সদস্য আমেরিকার আর এক র্যাপ গায়িকা রুবি রোজ জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা ভাবেন এই ওয়েবসাইট শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ত ছবি বা ভিডিয়ো ভাগ করে নেওয়ার জায়গা, তাঁরা ভুল ভাবছেন। এখানে আমরা ব্যক্তিগত স্তরে নানা বিষয়বস্তু ভাগ করে নিই ঠিকই, তবে সেগুলো কখনওই প্রাপ্তবয়স্ক নয়। আমরা কি হোয়াটসঅ্যাপ বা স্ন্যাপচ্যাটে শুধু নগ্নতা শেয়ার করি? তা তো নয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইটটি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা কিছুটা তেমনই দাঁড়াচ্ছে।’’
তবে বিষয়বস্তু যাই হোক, ওয়েবসাইট যে বিপদে অনেককে অর্থ জুগিয়ে সাহায্য করেছে, তা এক বাক্যে মেনেছেন তারকারা। হলিউডের সুপারস্টার মাইকেল জর্ডন যেমন তাঁর অ্যাকাউন্টটি তৈরিই করেছেন তাঁদের জন্য যাঁরা অতিমারীতে অর্থনৈতিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়েছেন। জর্ডনের দেওয়া ছবি, ভিডিয়ো থেকে তিনি যা অর্থ উপার্জন করেন, তার পুরোটাই যায় অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy