Advertisement
E-Paper

পাহাড়ে গিয়ে মাত্র ৪৯-এ মৃত্যু, খোঁজ মেলেনি দেহের! মা-কে নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পূজা বেদী

৪৯ বছর বয়সে পাহাড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মডেল-নৃত্যশিল্পী প্রতিমা বেদীর। মা-কে ঘিরে অনেক না পাওয়া রয়ে গিয়েছে অভিনেত্রী পূজা বেদীর। সম্প্রতি সেই নিয়েই কথা বললেন এক সাক্ষাৎকারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:০৪
Pooja Bedi Reveals Mother Protima Bedi Body Was Never Found and more on her life

(বাঁ দিকে) প্রতিমা বেদী, পূজা বেদী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

১৯৯৮ সালের ১৮ অগস্ট, এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মা-কে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী পূজা বেদী। সম্প্রতি মা প্রতিমা বেদী ও তাঁর বিচিত্র জীবন সম্পর্কে কথা বললেন অভিনেত্রী। নিজের শর্তে জীবনযাপনের জন্যই পরিচিত ছিলেন মডেল ও নৃত্যশিল্পী প্রতিমা বেদী। পাহাড়ে গিয়ে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। খুঁজে পাওয়া যায়নি দেহ। মেলেনি অনেক উত্তর।

পূজার আফসোস, মায়ের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাতে পারলেন না তিনি। ৫০-এর গণ্ডিও ছুঁতে পারেননি প্রতিমা। এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, “কত আফসোস রয়ে গিয়েছে। আরও কত কিছু মায়ের সঙ্গে করতে চেয়েছিলাম। মা বরাবর নিজের জীবন নিজের শর্তে বেঁচেছেন। যে ভাবে বাঁচতে চেয়েছেন, এমনকি মনে হয় মৃত্যুটাও যেন ওঁর মনের মতোই হয়েছে। সবসময় বলতেন, মৃত্যুর মাধ্যমে প্রকৃতির মধ্যেই বিলীন হয়ে যেতে চান।” প্রতিমা দেবী নাকি কখনওই চাননি যে, দারুণ সুন্দর একটা জীবন কাটানোর শেষে মৃত্যুর পর গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন হোক বা তাঁকে দাহ করা হোক। মেয়ের কথায়, “হলও তাই। মৃত্যুর পর তাঁর দেহই খুঁজে পাওয়া গেল না। ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গেই বিলীন হয়ে গেলেন।”

প্রতিমা বেদী কি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? উত্তরে পূজা বলেন, “আমার নামে উইল লিখে দেন, সমস্ত গয়না দিয়ে দেন, সমস্ত নথিপত্র, সম্পত্তির কাগজপত্র দিয়ে দেন। বলেন, ‘বলা তো যায় না।’ আমি আবার বলি, ‘এমন নাটকীয়তার কী প্রয়োজন?’ মা শুধু বলেন, ‘কিছুই বলা যায় না।’ ওঁর যা কিছু ছিল সব আমাকে দিয়ে দেন।” এর পর প্রতিমা কুল্লু, মনালী যান এবং মেয়ে পূজাকে একটা ১২ পাতার চিঠি লিখে পাঠান। তাতে নিজের জীবনের খুঁটিনাটি সমস্ত লিখে জানিয়েছিলেন মেয়েকে। তাঁর জন্ম, ছোটবেলা, সম্পর্ক, বিয়ে, সন্তান থেকে নাচের স্কুল, এমনকি মৃত্যুর আগে তিনি কোথায় রয়েছেন সেটাও। ওই শেষ বার প্রতিমার সঙ্গে কথা হয়েছিল মেয়ের।

Pooja Bedi Protima Bedi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy