প্রসূন জোশী।—ফাইল চিত্র।
সেন্সর বোর্ডের প্রধান হিসেবে গত কাল নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর। আজ সেই প্রসঙ্গে প্রসূন জোশী জানালেন, ‘‘সদিচ্ছা থাকলে শুরুটা সবচেয়ে ভাল হয়। প্রথম থেকেই চেষ্টা করব সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার।’’
মেয়াদ ফুরনোর আগে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পহেলাজ নিহালনিকে। ২০১৫-র জানুয়ারিতে সেন্সর বোর্ডের মাথায় বসানোর পর থেকে একের পর এক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ এই চিত্র- পরিচালকের। সেন্সর বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিহালনির কাজকর্মে অসন্তুষ্ট ছিলেন বহু পরিচালক, প্রযোজক। জোশীর কাছে তাই দেশের ফিল্ম জগতের প্রত্যাশা একটু বেশিই বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার জোশীর বার্তাতে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। তাঁর কথায়, ‘‘ফিল্ম জগত যে আমার কাছে প্রত্যাশা রাখে, তা জেনে আমি খুশি। এ বার নতুন পদ। নতুন দায়িত্ব। তবে শুধু বসে বসে কথা না বলে কোমর বেঁধে কাজ করার চেষ্টা করব।’’
আরও পড়ুন: অভিনেতার নামে ভুয়ো প্রোফাইল, ধৃত যুবক
শুধু প্রধানের পদে অদল-বদল নয়, বোর্ডকে আগাপাশতলা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে স্মৃতি ইরানির দায়িত্বে থাকা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সূত্রের খবর, বলিউডের পাশাপাশি প্রাদেশিক ফিল্ম দুনিয়ার সঙ্গে বোর্ডের যোগাযোগ আরও বাড়াতে এই নয়া উদ্যোগ। নতুন সদস্য হিসেবে নাম উঠে আসছে বিদ্যা বালন, বিবেক অগ্নিহোত্রী, গৌতমী তাডিমল্লা, নরেন্দ্র কোহালি, রমেশ পাটাঙ্গে, নীল হারবার্ট নংকিনরিহ, টি এস নাগভরন, ওয়ামান কেন্দ্রে, জীবিতা রাজশেখর, বাণী ত্রিপাঠী টিকু, মিহির ভাটু, নরেশচন্দ্র লালদের।
দু’বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া গীতিকার, ৪৫ বছরের প্রসূন জোশীর জন্ম উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায়। কাজ করেছেন ‘তারে জমিন পর’, ‘ফনা’, ‘রং দে বসন্তী’, ‘গজনি’, ‘চিটাগাং’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘নীরজা’র মতো ছবিতে। ২০১৫ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী খেতাব। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রসূনকে প্রধানমন্ত্রীও খুব পছন্দ করেন। আবার বলিউডেও ‘উদারচেতা ও সংস্কারমুক্ত’ বলেও সুনাম রয়েছে প্রসূনের। সব মিলিয়ে সেন্সর বোর্ডের ভাবমূর্তি ফেরাতে প্রসূনই ঠিক লোক বলে মনে করছে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy