Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩
Priyanka Chopra Jonas

হিজাব-বিরোধীদের সাহসে মুগ্ধ! ইরানের মাহশা আমিনির হয়ে কণ্ঠ ছাড়ুন, আর্জি প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার

দুনিয়ার নানা প্রান্তে যে ভাবে এই আন্দোলনের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখে মুগ্ধ তিনি। প্রতিবাদীরা যে ভাবে জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও সরব হয়েছেন, তাতে ঘোর কাটছে না প্রিয়ঙ্কার।

হিজাব-বিরোধীদের পাশে প্রিয়ঙ্কা।

হিজাব-বিরোধীদের পাশে প্রিয়ঙ্কা। ছবি: প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৪৭
Share: Save:

সমাজমাধ্যমকে হাতিয়ার করে ইরানের মাহশা আমিনির সমর্থনে হিজাব-বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। মাহশার মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে ওঠা অগণিত কণ্ঠের সঙ্গে গলা মেলানোর আহ্বান জানালেন। দুনিয়ার নানা প্রান্তে যে ভাবে এই আন্দোলনের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখে মুগ্ধ তিনি। প্রতিবাদীরা যে ভাবে জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও সরব হয়েছেন, তাতে ঘোর কাটছে না প্রিয়ঙ্কার।

Advertisement

এই বিক্ষোভের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইনস্টগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। তাতে দেখা গিয়েছে, সাদা-কালোয় একটি স্কেচ— মাহশার হিজাবহীন খোলা চুলে জড়িয়ে হাজারো নারীর দমিত কণ্ঠস্বর। যুগ যুগ ধরে স্তব্ধ করে রাখার পর যা বিস্ফোরিত হয়েছে। প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘ইরান এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলারা উঠে দাঁড়িয়ে মাহশা আমিনির জন্য আওয়াজ তুলেছেন, জনসমক্ষে নিজেদের চুল কেটে বা অন্য নানা উপায়ে প্রতিবাদ করছেন। ‘ঠিকমতো’ হিজাব না পরার জন্য যাঁর ক্ষণিকের জীবন অত্যন্ত নির্মম ভাবে কেড়ে নিয়েছেন ইরানের নীতিপুলিশরা। যুগ যুগ ধরে জোর খাটিয়ে চুপ করিয়ে রাখার পর বহু কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, যা আগ্নেয়গিরির মতোই উদ্‌গীরণ করবে! এবং তাঁদের থামানো, দমানো যাবে না।’’

প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর গাড়িতে করে সপরিবার কুর্দিস্তান থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে আসার পথে মাহশার পথ আটকেছিলেন ‘নীতিপুলিশরা’। হিজাবহীন মাশহাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে অকথ্য অত্যাচারের জেরে তিন দিন পর হাসপাতালে মারা যান মাহশা।

এই ঘটনা ঘিরে গর্জে ওঠেন ইরানের বাসিন্দারা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা দেশেও। সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে সেই আন্দোলনের খণ্ডচিত্র। রাস্তায় নেমে চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে সরব হয়েছেন অগণিত মানুষ। যা দেখে বিস্ময় কাটছে না প্রিয়ঙ্কার। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘আপনাদের সাহসিকতা এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে আমি বিস্মিত। নিজেদের অধিকারের জন্য আক্ষরিক অর্থেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া, পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ ছোড়াটা সহজ কথা নয়। তবে আপনাদের মতো সাহসী নারীরা প্রতি দিনই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে তা করে চলেছেন। যাতে এই আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁদের বক্তব্য শোনা উচিত আমাদের, এই বিষয়টি বোঝা উচিত এবং তার পর একত্রিত হয়ে গলা মেলানো উচিত। অন্যদেরও এই আন্দোলনে যোগদানে উৎসাহিত করা উচিত আমাদের। কারণ, সংখ্যার গুরুত্ব রয়েছে।’’

Advertisement

এতেই থেমে থাকেননি রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসাডর’ বা শুভেচ্ছাদূত প্রিয়ঙ্কা। তাঁর আর্জি, ‘‘এই গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নিজেদের শামিল করুন। সরব হোন, নিজেদের ওয়াকিবহাল রাখুন, যাতে এই কণ্ঠগুলিকে আর কোনও ভাবেই নীরব করে রাখা না যায়। আপনাদের সমর্থনে পাশে রয়েছি।’’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন কুর্দিশ ভাষায় ‘জিন, জিয়াঁ, আজ়াদি... উইমেন, লাইফ, ফ্রিডম।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.