গত বছর ডিসেম্বরে অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তার আগে সন্তান নিয়ে তাঁদের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না বলে জানিয়েছিলেন রাধিকা। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, এই খবর নাকি প্রথম দুই সপ্তাহ মেনে নিতেই পারেননি তিনি। সে সময় নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সে সব সামলেই কাজ করেছেন রাধিকা। তবে তিনি মনে করেন নতুন মায়েদের জন্য বলিউডে কাজ করা বেশ কঠিন। কেউ নাকি বুঝতেই চায় না একজন মায়ের ঠিক কিসে সুবিধা-অসুবিধা। তা ছাড়া বলিউডে কাজের কোনও সময় সীমা নেই। এ বার মা হওয়ার পর কি নতুন পন্থা অবলম্ব করবেন রাধিকা!
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। সম্প্রতি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গাকে এই শর্ত দিয়েছিলেন। সেই কারণেই নাকি ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে অভিনেত্রী। মেয়ে দুয়ার জন্মের পর থেকে অভিনেত্রী সাফ জানান, আট ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। সেই একই সুর রাধিকার কণ্ঠে। তিনি জানান, ভারতে অনিয়মিত সময়সূচীর কারণে এখানে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে তাঁর পক্ষে।
রাধিকা বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পেরেছি যে ভারতে আমরা যে ভাবে কাজ করি তা আমার পক্ষে কখনই করা সম্ভব হবে না। কারণ ভারতে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এর বাইরে রয়েছে রূপটানের সময়। কেশসজ্জা, রূপটান মিলিয়ে অন্তত ১৩ ঘণ্টা। তা উপর রয়েছে যাতায়াত। এবং কোনও শুটিং সময় মতো শেষ হয় না। তখন সময় বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ ঘণ্টা। আমি আমার জীবনের ১৬-১৮ ঘণ্টা শুটিং করে কাটিয়ে দেব, এমনটা আর কখনও সম্ভব হবে না।”
রাধিকা মনে করেন, এ ভাবে কাজ করলে তিনি আর তাঁর মেয়েকে দেখতেই পাবেন না। তাই রাধিকা আবার নতুন ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত রাখবেন। রাধিকা আরও বলেন, “আমার চুক্তিপত্রে এ বার থেকে বেশ কিছু শর্ত থাকবে। অনেকেরই এতে সমস্যা হবে। সিনেমার সেটে অনেক মহিলারা কাজ করেন। আমরা লিঙ্গ সমতা নিয়ে কথা বলি এবং অনেক বিভাগে অনেক মহিলা আছেন। আমি জানতে চাই তাঁদের ক’জনের সন্তান রয়েছে।” রাধিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয়, পুরুষরা তাঁদের সন্তানদের না দেখে থাকতে পারেন। কিন্তু মায়েরা তা করতে পারেন না। তাই অনেক মহিলাই যাঁদের সন্তান রয়েছে, তাঁরা বলিউডে কাজ করতে পারেন না।