প্রেক্ষাপট তৈরিই ছিল। শুধু ঘটনাটা ঘটার অপেক্ষা। রাজ চক্রবর্তী এবং মিমি চক্রবর্তীর আবার মিলমিশ হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। এটাই খবর। তাঁরা দু’জনে গোয়া ভ্রমণেও গিয়েছেন।
শুভশ্রীর সঙ্গে রাজের ব্রেকআপের পিছনে অনুঘটক হিসেবে সকলেই মিমির নাম করেছিলেন। যদিও সে সময় মিমি এ সবের কিছুই স্বীকার করেননি। বরং বেশ অবাক হওয়ার ভান করেছিলেন। কিন্তু অন্দরের খবর, শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই রাজ আর মিমি নিজেদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করেছেন। দু’জনকে একে অপরের বাড়িতেও দেখা গিয়েছে। তবে গোটা বিষয়টাই তাঁরা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুভশ্রী-রাজের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গেই জু়ড়ে যায় মিমির নামও। রাজ প্রথমে শুভশ্রীর সঙ্গে ব্রেকআপের খবর স্বীকার করতে চাননি। পরে আনন্দ প্লাসের সাক্ষাৎকারেই বিষয়টা স্বীকার করেন। কিন্তু তখনও তিনি মিমির সঙ্গে প্যাচআপের বিষয়ে মুখ খোলেননি।
আসলে রাজ-মিমি দু’জনেই নিজেদের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা চান না। কারণ তাঁদের সম্পর্ক ভাঙা এবং জো়ড়া নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যা দু’জনের ইমেজের ক্ষতি করেছে। মিমিকে নিয়ে রাজের একটি ছবি করারও কথা ছিল। কিন্তু গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং বিতর্কে ইন্ধন না জোগাতে রাজ তাঁর ছবিতে মিমিকে কাস্ট করেননি। নইলে প্রেমিকাকে নিয়ে ছবি করাটাই তো পরিচালকের দস্তুর। এই গোয়া সফরও তাঁরা একেবারেই গোপন রেখেছেন। পুজো কাটিয়েই দু’জনে গোয়ার পথ ধরেছেন। রাজকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: মুম্বইবাস নিজেকে তৈরি করার পর্ব
সেই ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবির সময় থেকেই রাজ আর মিমির সম্পর্কের সূত্রপাত। তখন রাজ প্রেম করছেন পায়েল সরকারের সঙ্গে। মিমির প্রবেশে পায়েলের প্রস্থান। তার পর থেকে রাজ-মিমির সম্পর্ক বেশ স্টেডি ছিল। রাজের ক্যাসানোভা ইমেজ এবং কিছু মতান্তরের কারণেই দু’জনের প্রেম ভাঙে। রাজ সেই মুহূর্তে মিমিকেই ব্রেকআপের জন্য দায়ী করেছিলেন। তবে মিমি কিন্তু অন্য সম্পর্কে জড়াননি। বরং প্রথম থেকেই রাজের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেওছিলেন, রাজের ব্যাপারে তিনি কতটা দুর্বল।
যদিও সে সময় মিমির ‘অভিমান পর্ব’ রাজের মন টলাতে পারেনি। তখন তিনি শুভশ্রীকে নিয়ে মজে। তাঁদের বিয়ে পর্যন্ত ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু রাজকে যাঁরা চেনেন তাঁরা জানেন, বিয়ের পিঁড়িতে রাজকে বসানোটা কতটা দুষ্কর! শুভশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য রাজ তখন বলেছিলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির অনেকে চাইছেন না আমাদের সম্পর্কটা থাকুক।’’ (৯ জুন, আনন্দ প্লাস) ইঙ্গিত যে এক নামী প্রযোজনা সংস্থার দিকে ছিল, সেটা স্পষ্ট। কারণ, ওই সংস্থার সঙ্গে শুভশ্রীর সম্পর্ক খুবই খারাপ। এবং মিমি ওই সংস্থার ঘরের মেয়ে বলা চলে।
মিলমিশ তো হয়েই গিয়েছে, তবে কি এ বার রাজ-মিমির সম্পর্ক সত্যিই স্থায়ী হবে? কারণ, শুভশ্রী নাকি রাজের কাছে ফিরতে চান বলে মাঝেমধ্যেই খবর রটে। অন্য দিকে আর এক নায়িকার সঙ্গে রাজের সম্পর্কের গুঞ্জনও রয়েছে। যাঁকে রাজের সঙ্গে পরপর দু’টি ছবিতে দেখা গিয়েছে। রাজ-মিমি স্বীকার করুন বা না-ই করুন, সম্পর্ক কিন্তু জোড়া লেগে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy