প্রয়োজনে তিনি আইনি পথেও হাঁটবেন পরিচালক রাম গোপাল বর্মা
পরিচালক আরও লেখেন, আইনি সমর্থন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। তার পরেও সমকামিতার বিরোধিতা করার অর্থ এলজিবিটিকিউআইএ সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি অকারণ অসম্মান। যা তিনি মানতে পারছেন না। ‘ডেঞ্জারাস’ মুক্তির জন্য আদালতে যাবেন রামগোপাল বর্মা।আইনক্স, পিভিআরের হল মালিকেরা জানিয়ে দিলেন সমকামী নির্ভর ছবি নাকি আর দেখাবেন না তাঁরা। বেঁকে বসেছেন তাঁরা এই ধারার ছবি-মুক্তি নিয়ে। পরিচালক রাম গোপাল বর্মার এমনটাই দাবি। প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের বক্তব্য, এ ভাবে খুল্লামখুল্লা সমকামিতার ছবি, তাঁদের যৌনতাকে তাঁরা দেখাবেন না। দর্শকের নাকি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া হবে।
টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে রামগোপাল প্রশ্ন তুলেছিলেন যে দেশে ৩৭৭ ধারা চালু হওয়ার পরেও এত উৎসাহ আলোচনা দেখা যায়, সেই দেশে মানুষ এই বিষয় নিয়ে ছবি দেখতে চাইছেন না? এমনটা হতে পারে? ক্ষুব্ধ ‘সত্যা’ ছবির পরিচালক।তাঁর ছবি ‘ডেঞ্জারাস’ (খতরা) মুক্তি নিয়েই এই সমস্যার সূত্রপাত। এই ছবিতে জায়গা করে নিয়েছে দুই নারীর প্রেম। আর সেখানেই আপত্তি প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের।
শরীরে ঘিনঘিনে হাতের ছোঁয়া, যৌন হেনস্থা, গুণ্ডামি বাঁচিয়ে কেমন হইহই করে এগিয়ে চলেছেন দেশের নারীরা। সেই যাত্রা পথে দুই সমমনস্ক নারী একে অন্যের কাছে উজাড় করে দিচ্ছেন যন্ত্রণা, লাঞ্ছনার কথা। সেই উজাড় করার রাস্তায় কখনও এক হয়ে যাচ্ছে দুই শরীর। সহানুভূতির আদানপ্রদানের পর একজোট হয়ে শত্রুর মোকাবিলা…এই দৃশ্য নাকি ভারতের মানুষ মেনে নিতে পারবেন না। এমনটাই পরিচালককে প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা জানিয়েছেন।পরিচালক অবশ্য জানিয়েছেন, ছবিতে সমকামী দুই যুগলের প্রেম-হিংসা-যৌনতা-অ্যাকশন তুলে ধরেছেন তিনি। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ছবিতে সাহসী দৃশ্য এসেছে। যাকে জীবন্ত করেছেন নয়না-অপ্সরা। পরিচালক আরও লেখেন, আইনি সমর্থন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। তার পরেও সমকামিতার বিরোধিতা করার অর্থ এলজিবিটিকিউআইএ সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি অকারণ অসম্মান। যা তিনি মানতে পারছেন না। এর জন্য প্রয়োজনে তিনি আইনি পথেও হাঁটবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy