গল্পের এক চরিত্রই লিখছে গল্পের অন্য চরিত্রকে। নতুন নয়। মহাভারত থেকে হয়ে আসছে। চলচ্চিত্রের পরিসরে সচেতন ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে নাটকের নানা মুদ্রা। সে-ও হয়ে গিয়েছে আগেই। এক সেটে আবদ্ধ ছবি, মাঝেমধ্যেই গ্রাফিক, ম্যানিকুইন, অস্থিরতার কোরিয়োগ্রাফ, সোশ্যাল কমেন্টারি... চমক লাগলেও আনকোরা নয়।
যেটা সত্যি করে নতুন হতে পারত, তা হল একটা স্বচ্ছ চিন্তা। ‘মুখোমুখি’তে বহু কিছু করলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, শুধু চিন্তাটুকু ছাড়া। বস্তাপচা মধ্যবিত্ত কারুবাসনা আর আলগোছে ভাসানো ভুবনডাঙার জীবনবীক্ষার মধ্যে পাক্কা দু’ঘণ্টা পাক খেয়ে মরল ছবি।
গল্পের নিয়ন্তা এক দম্পতি (গার্গী রায়চৌধুরী ও রজতাভ দত্ত), যারা কল্পনা করছে শৌনক (যিশু সেনগুপ্ত/ সাহেব ভট্টাচার্য) ও অনসূয়া (পায়েল সরকার/ দর্শনা বণিক) নামে দুই তরুণ-তরুণীকে যারা একে অন্যের প্রতি অনুরক্ত, পরে বিবাহিত ও তার পরে বিচ্ছিন্ন। বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করা শৌনক চায় গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা, অনসূয়া তৈরি হচ্ছে আমলা হওয়ার জন্য। একটা জায়গার পরে দু’জনের চাওয়া-পাওয়া মিলছে না।