Advertisement
০২ মে ২০২৪
Red Notice

Red Notice: যুক্তিতে টান, তবে ছবি টানটান

আর্ট থিফ নোলান বুথ (রায়ান রেনল্ডস), এফবিআই এজেন্ট জন হার্টলি (ডোয়েন জনসন) এবং বিশপ (গ্যাল গ্যাডট)— এই তিনজন কাহিনির মুখ্য চরিত্র।

সায়নী ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫১
Share: Save:

ভরপুর অ্যাকশন ও চোর-পুলিশের ফর্মুলা ছবি। শেষে প্রত্যাশিত টুইস্ট। দুর্ধর্ষ সব লোকেশন। আর অভিনেতা ত্রয়ীর মুগ্ধকর পারফরম্যান্স। নেটফ্লিক্স ফিল্ম ‘রেড নোটিস’কে খুব সহজ কথায় এ ভাবে বর্ণনা করা যায় হয়তো। ‘উই আর দ্য মিলার্স’, ‘স্কাইস্ক্র্যাপার’, ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স’-খ্যাত পরিচালক রসন মার্শাল থার্বার। তাঁর পরিচালিত এই সাম্প্রতিক অ্যাকশন ড্রামাটি মোটের উপর উপভোগ্য। আর গল্পটি হল সেই গোত্রের, যেখানে অনেক ফাঁকফোকর সত্ত্বেও ছবির মূল নির্যাস ধরে রাখার জন্য তা আতশকাচের তলায় না ফেললেও চলে।

আর্ট থিফ নোলান বুথ (রায়ান রেনল্ডস), এফবিআই এজেন্ট জন হার্টলি (ডোয়েন জনসন) এবং বিশপ (গ্যাল গ্যাডট)— এই তিনজন কাহিনির মুখ্য চরিত্র। এদের মধ্যে কারও পরিচয় প্রকাশ্যে, কেউ মুখোশের আড়ালে, কেউ বা অন্ধকারে। মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার হারিয়ে যাওয়া বহুমূল্য ‘থ্রি লস্ট এগস’-এর খোঁজে নেমেছে এই ত্রয়ী। কে কার সঙ্গে জোট বেঁধেছে আর আসলে কে কার শত্রু, তা খোলসা করা হয় না যথারীতি। তবে বলিউড-হলিউডের কমার্শিয়াল হাইস্ট ফিল্ম দেখার অভ্যেস থাকলে ছবির শেষের চমক ধরে ফেলতে খুব একটা অসুবিধে হবে না।

রেড নোটিস
পরিচালনা: রসন মার্শাল থার্বার
অভিনয়: ডোয়েন জনসন, রায়ান রেনল্ডস, গ্যাল গ্যাডট
৬/১০

ছবিতে অনেক বার ‘কী হইতে কী হইয়া গেল’ মুহূর্ত আছে। চরম বিপদেও রায়ান রেনল্ডসের ফাজলামি আর বিপদ থেকে অবিশ্বাস্য অব্যাহতি, গ্যাল গ্যাডটের ওয়ান্ডার উওম্যানসুলভ অ্যাকশন, ক্লাইম্যাক্সে এড শিরানের ক্যামিয়ো... মশলার উপাদান কম নেই ‘রেড নোটিস’-এ। পরিচালকের প্রিয় অভিনেতা ডোয়েন ‘রক’ জনসনও অভিনয়ে যথাসাধ্য পাল্লা দিয়েছেন রায়ান এবং গ্যালের সঙ্গে। তবে পাঞ্চলাইন, হাসির রোল আর হাততালির বেশির ভাগই তোলা রয়েছে রায়ান রেনল্ডসের জন্য। তিনি একাই প্রায় ছবির বিভিন্ন দৃশ্য উতরে দিয়েছেন তাঁর চেনা ম্যানারিজ়মে। গ্যাল মোহিত করেছেন তাঁর আত্মবিশ্বাসী অভিনয়ে, লাস্যে, অ্যাকশনে তো বটেই। বিশপের চরিত্রটিকে শুধুই ছবির নায়িকার গণ্ডিতে বেঁধে না রাখার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ। ইন্টারপোল অফিসার দাসের চরিত্রে ঋতু আর্যের অভিনয় তেমন জমেনি।

গল্পে যে তুখোড় বুদ্ধির চোর-পুলিশ খেলা চলেছে, তাতে এফবিআই এজেন্ট বলে নিজের পরিচয় দেওয়া জন হার্টলির আসল নাম-ধাম গোড়াতেই বার করে ফেলা যেত হয়তো। কিন্তু তা হলে গল্প এগোত না। মাটির তলায় বছরের পর বছর চাপা পড়ে থাকা ভল্টের নীচে ঝকঝকে মার্সিডিজ়, যা নাকি সামান্য আয়াসেই রকেট-গতিতে ছুটতে শুরু করে, এ সবও দেখানো যেত না আর। পুলিশ এখানে চোরকে এবং চোর পুলিশকে প্রায় অবিশ্বাস্য ভাবে ধাওয়া করে। দর্শক নিমেষে পৌঁছে যায় রোম, বালি, কায়রো, আর্জেন্টিনার মতো শহরে।

দৃশ্যসুখে খামতি নেই। বিনোদনেও নেই। দু’ঘণ্টারও কম সময়ের এই টানটান ছবি আগামীর রেশ ছেড়ে যায় শেষ দৃশ্যে। তার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করাই যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Red Notice Dwayne Johnson Gal Gadot Ryan Reynolds
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE