মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ
বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছাড়তে প্রস্তুত। ঠিক তখনই বহু দিন পরে নেটমাধ্যমে লম্বা পোস্ট। আগের মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষে বিঁধলেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। সোমবার, মুখ্যমন্ত্রী ২৫ হাজার ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রুদ্রনীল হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছেন, এতে খরচ হবে ২৫০০০× ৫,০০০০০= ১২৫ কোটি টাকা। সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার পরেই তাঁর দুটো প্রশ্ন। এ টাকা কার? আপনার? আপনার দলের? উত্তর দিয়েছেন অভিনেতা নিজেই, এই টাকা জনগণের। প্রশ্ন ছুড়েছেন, ডোমের চাকরির জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের আবেদন নিয়েও। তাঁর পরামর্শ, ক্লাবের পরিবর্তে বাংলার উন্নয়নে খরচ করুন।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে হেরে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রুদ্রনীল। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, বাকি অভিনেতাদের মতো তিনিও রাজনীতি থেকে সরে অভিনয়ে মন দিচ্ছেন। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ক্লাবে দান-খয়রাতি নিয়ে মুখ খুলতেই নড়ে বসেছেন নেটাগরিকেরাও। তাঁদেরও কৌতূহল রুদ্রনীলকে নিয়ে, ‘হঠাৎ কি জেগে উঠেছেন এত দিন পর?'
রুদ্রনীল শুধু একটি বিষয় নিয়ে মুখ খুলেই ক্ষান্ত হননি। করোনা, চুরি, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অব্যবস্থা— সব দিক থেকে আক্রমণ শানিয়েছেন। সাফ জানিয়েছেন, ‘মানুষ আবার ক্ষমতায় এনেছেন বলে মানুষের টাকা দিয়ে যা খুশি করবেন না দয়া করে। শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের চোখের জল আছে এই টাকায়। ক্লাবের ফূর্তি বা আনন্দের বিনিময়ে তাদের হাতে রাখতে আর ভোট কব্জা করতে এই টাকার ব্যবহার বন্ধ করুন। বাংলা যে বিপদে আছে তা সব থেকে বেশি আপনি জানেন।'
বহু দিন পরে শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা। বরাবর তিনি নেটাগরিকদের থেকে ‘দলবদলু’, ‘গিরগিটি’ তকমা পেয়ে এসেছেন। এ বার তাঁরাই রুদ্রনীলকে সমর্থন জানিয়েছেন। মন্তব্য বিভাগে এক জন লিখেছেন, ‘আপনার বিচার বুদ্ধি একেবারে পছন্দ নয় আমার। কিন্তু এই কথাটা আপনি খুব ভাল বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। ক্লাবগুলোকে পরে দেখলেও হবে। কারণ খেলা তো হবেই!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy