‘রকি’ থেকে ‘কেজিএফ-২’— অভিনয় জগতে সাফল্যের চূড়োয় দাঁড়িয়ে আছেন সঞ্জয় দত্ত। তবে উপর থেকে নীচে ফেলে আসা জীবনটা কেমন দেখায়, তা কিন্তু ভোলেননি অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, একটা সময়ে তিনি খুব নেশা করতেন। মাদক নিয়ে ঘোরের মধ্যে কথা বলে যেতেন। তখন তাঁর মনে হতো খুবই ‘কুল’ বা যুগোপযুগী এই আচরণ।
সঞ্জয় হাসতে হাসতে অকপট বলেন, ‘‘আসলে নারীদের সান্নিধ্য পাওয়াটাই তখন বড় কথা ছিল। ইচ্ছে করত নারী পরিবৃত হয়ে থাকতে।’’ তাই তাঁর ধারণা হয়েছিল মাদক সেবন করলে ‘জাতে ওঠা যায়’, মেয়েদেরও পাত্তা পাওয়া যায়। যে ভাবনা থেকে দীর্ঘ দশ বছর উশৃঙ্খল জীবন যাপন করেছেন ‘অধীরা’। সেখান থেকে ফিরে আসা সহজ ছিল না।
সঞ্জয়ের দাবি— কী পেয়েছেন আর কী পাননি, তার হিসেব মেলানোর চেয়ে উচিত, অতীতের সেই সময়টাকে স্বীকার করে নেওয়া। তিনি যে ভুল করছেন, একটা সময়ে নিজেই বুঝেছিলেন। বুঝেছিলেন, মাদকের নেশা থেকে বেরোতেই হবে।
নেশা মুক্তির জন্য দীর্ঘ দিন রিহ্যাবে ছিলেন সঞ্জয়। অভিনেতার দাবি, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পরে সবাই তাঁকে দুয়ো দিত, বলত ‘‘ওই যে চরসি!’’ সে সব কানে না তুলে কঠোর শরীরচর্চা শুরু করেন ‘মুন্নাভাই’। নিজের নেশাগ্রস্ত ভাঙাচোরা চেহারা একেবারে বদলে ফেলে পেশীবহুল হয়ে তবেই ছেড়েছেন। তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সবাই প্রশংসা করে বলেছে, ‘‘কী চেহারা বানিয়েছ গুরু!’’