Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Saptarshi Moulick

Saptarshi Moulick: স্বাতীলেখা ম্যাম নেই, রুদ্রপ্রসাদ স্যর বলেছেন, জন্মদিনে আমিই রেস্তরাঁয় নিয়ে যাব

স্যর নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন, ‘‘স্বাতীলেখা নেই। আমি তো আছি! আমিই বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যাব’’

সপ্তর্ষি মৌলিক।

সপ্তর্ষি মৌলিক।

সপ্তর্ষি মৌলিক
সপ্তর্ষি মৌলিক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৪৬
Share: Save:

ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’ শেষ। আমারও তাই সাময়িক ছুটি। আর জানুয়ারি মানেই আমার জন্মমাস। জন্মদিন ঘিরে আমার খুব গর্ব! কারণ, আমি জন্মেছি বিশেষ এক দিনে। ১২ জানুয়ারি। যে দিন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। গত রাত থেকে উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে। সোহিনী শ্যুট সেরে দুর্দান্ত একটা চকোলেট কেক এনেছিল। আমার পছন্দের দোকান থেকে। মধ্যরাতে সেই কেক কাটা, খাওয়া-দাওয়া। মনটা ফুরফুরে তখন থেকেই।

সকাল থেকে যদিও আমি আমার সঙ্গে। সোহিনী বেরিয়ে গিয়েছে শ্যুটে। ‘খড়কুটো’, ‘সোনা রোদের গান’ ধারাবাহিকের শ্যুট চলছে ওর। কিন্তু বলে গিয়েছে, আজ ও তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে। আমাদের কিছু কাছের বন্ধুরা আসবেন। সবাই মিলে হয়তো বেরোব। পার্ক স্ট্রিট যাব। খাওয়া-দাওয়াও হবে। সবটাই হয়তো। কারণ, প্রতি মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে।

সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোহিনী সেনগুপ্ত।

সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোহিনী সেনগুপ্ত।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এ বাবা! জন্মদিনে একা একা নিজের সঙ্গে? নিশ্চয়ই ভারী ভারী চিন্তা করছি? অবধারিত ভাবে বয়স বেড়ে যাওয়ার দুঃখও পাচ্ছি একটু একটু! শেষের প্রশ্নটা আমার কাছে খুব মজার। প্রতি বছরই ভাবি— এই রে, বয়সটা আবার এক বছর বেড়ে গেল! তার পরেই মনে হয়, কত কিছু করার ছিল। সবটা কি গুছিয়ে করে উঠতে পারলাম? এটা পড়ে কেউ আবার ভাবতে বসবেন না, আমার অনেক আক্ষেপ আছে। আমরা রোজই কিছু না কিছু লক্ষ্য নিয়ে এগোই। কিছুটা পূরণ হয়। সবটা হয়তো হয় না। আমি সেই কথাই বলতে চেয়েছি। মঙ্গলবার রাতে দুর্দান্ত একটি ছোট ছবি দেখছিলাম। তাতে বলা হয়েছে, ইচ্ছেটাই সব। ইচ্ছেকে হাতিয়ার বানিয়ে চেষ্টা করে যেতে হবে। তা হলেই ঠিক এক দিন না এক দিন লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এই যেমন, বিশ্রামের পাশাপাশি একটু একটু করে ফের ভাল চরিত্রে অভিনয়ের খিদে আবার জাগছে আমার। সেটা হতে পারে মঞ্চ কিংবা যে কোনও পর্দায়।

আর সকাল থেকে বার বার মনে পড়ছে স্বাতীলেখা ম্যামের কথা। আমার শাশুড়ি মা। আপনাদের স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বিয়ের আগে- পরে বহু বার ওঁর হাতের রান্না খেয়েছি। বেশ কিছু পদ আমার খুবই প্রিয়। শেষের দিকে আমরা সবাই মিলে রেস্তরাঁয় খেতে যেতাম। আমায় খাওয়াতে নিয়ে যেতেন ম্যাম। বাইরে খেতে খুব ভালবাসি বলে। এ বার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, আমার ‘স্যর’ সেই ভূমিকা নেবেন বলেছেন। মাঝে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন ভাল আছেন। আমায় ফোনে আগাম নিমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন— ‘‘স্বাতীলেখা নেই। আমি তো আছি! জন্মদিনে আমিই তোমায় বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE