অক্ষয় এবং রবিনা— দু’জনেই নব্বইয়ের দশকে বলিউডে পা রেখেছিলেন। এক সময় তাঁদের জমাটি প্রেম নিয়ে বলিপাড়ায় কম গুঞ্জন ছড়ায়নি। এমনকি, আজও বলি-তারকাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলে অক্ষয়-রবিনার প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনেকে বলেন, ‘মোহরা’-র ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানের দৃশ্যায়নের সময় দু’জনার রসায়ন চরমে উঠেছিল। সেটা ছিল ১৯৯৪ সাল। রাজীব রাইয়ের ওই ছবির পরেও একসঙ্গে কাজ করেছেন দু’জনে। তবে ভক্তদের দাবি, ওই গানটিই অক্ষয়-রবিনা জুটির ফিল্মি কেরিয়ারের সোনালি রেখা হিসেবে মনে থাকবে।
তবে তাঁদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াল না কেন? ‘খিলাড়ি’ অক্ষয়কে নাকি একেবারেই ভরসা করা যায় না— এমনই দাবি রবিনার। অনেকে বলেন, রবিনার এমন দাবির পিছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। এক সময় রবিনার কটাক্ষ ছিল, ‘‘অক্ষয়ের সামনে যে মেয়েই আসুন না কেন, তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসত। যে গতিতে ও এগোচ্ছে, তাতে মনে মুম্বয়ের প্রতি তিন-চারটি মেয়ের বাবাকেই ওকে মা-বাবা বলে ডাকতে হবে।’’
রবিনার সঙ্গে প্রেমপর্বের মাঝেই একের পর এক নায়িকার সঙ্গে অক্ষয়ের নাম জড়িয়েছিল। পূজা বাটরা, শিল্পা শেট্টি, টুইঙ্কল খন্না। এমনকি, ‘খতরোঁ কি খিলা়ড়ি’ ছবির সময় রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রেম নিয়ে রসালো আলোচনা চলতি বলিপাড়ায়। যদিও রবিনার দাবি, ‘‘আমার মনে হয় না, অক্ষয়ের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক ছিল। উল্টে রেখার থেকে দূরে পালাত অক্ষয়। ওই ফিল্মের জন্যই রেখাকে সহ্য করতে হত। এক সময় তো অক্ষয়ের জন্য বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসতে চেয়েছি্লেন রেখা। সে সময়ই আমি বাধা দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, (রেখা) বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।’’
এ হেন অক্ষয় সম্পর্কে অনেকেই বলেন, ‘ক্যাসানোভা’ শব্দটা যেন ওঁর সমার্থক। সাধে কি আর রবিনা বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসল। আমার কাছে সেটাই বড় ব্যাপার। তবে অক্ষয়ের কাছে এ সবের কোনও মূল্য নেই। ও আশা করে, প্রতি বারই আমি ওকে মাফ করে দেব। প্রায় তিন বছর ধরে সে রকমই করে এসেছিলাম। তবে শেষের দিকে আর নিতে পারছিলাম না!’’
বেশ সাদামাটা ভাবে বাগদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল অক্ষয়-রবিনার। রবিনা বলেন, ‘‘আচমকাই ঠিক করেছিলাম, বাগদানের অনুষ্ঠান করব। এমন এক জনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল, যাকে আমি চিনি, জানি। আমিও সব ছেড়েছুড়ে সকলের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। বিয়ের আগে থেকেই অভিনয় ছেড়ে দেব বলেও স্থির করেছিলাম।’’
একটি মন্দিরে তাঁদের বাগদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রবিনা। ওই অনুষ্ঠানের কথা যাতে ঘুণাক্ষরেও পাঁচকান না হয়, সে জন্য দু’জনের পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না। রবিনার কথায়, ‘‘কোনও জাঁকজমক নয়, বেশ ছিমছাম অনুষ্ঠান হয়েছিল। মন্দিরের পুরোহিত পুজোটুজো করছিলেন। অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমার আর অক্ষয়ের পরিবার দিল্লি থেকে এসেছিল। অক্ষয়ের পরিবারের এক জন বয়স্ক মানুষ তো আমার মাথায় দোপাট্টা বেঁধে দিয়েছিলেন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন, আমাদের বিয়ে হচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy