বাংলার গল্প কান-এ।
বিজ্ঞাপনী ছবি নয়। টাকা দিয়ে দেখানো ছবিও না।
খোদ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সিনেফন্ডেশনের অফিশিয়াল সিলেকশনে এ বার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ছাত্রের ছবি। বাছাই করা ১৮টা ছবির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সৌরভ রাইয়ের ‘নেস্ট’। আঠাশ মিনিটের ছবিটির ভাষা নেপালি হলেও, গল্পটা উত্তরবঙ্গের। ‘‘গল্পটা অটোবায়োগ্রাফিকাল বলতে পারেন। আমার ছোটবেলা কেটেছে মাঙ্গোয়ায়। আশির দশকের শেষ দিকে দেখেছি, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অস্থিরতায় লোকজনকে রুটিরুজির তাগিদে এক শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যেতে। সেই অস্থির সময়ের মধ্যে এক শিশুর মনকে তুলে ধরতে চেয়েছি’’— বলছিলেন সৌরভ। রাজনৈতিক অস্থিরতা তো এই সময়েও। সে নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা নেই? ‘‘ইচ্ছা তো আছেই। তবে পরের বার একটা ফিকশন করতে চাই’’— ফোনে বলছিলেন পরিচালক।
১৪ তারিখ সকালে ফেস্টিভ্যালের ওয়েবসাইটে খবরটা দেখার পর থেকে ফোনের বন্যা এসআরএফটিআই-এর পরিচালনা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রের মোবাইলে। সৌরভের কথায়, ‘‘টেকনিক্যালি প্রাক্তন বলা যাবে না। কনভোকেশন এখনও বাকি।’’
মে মাসের দশ তারিখ যাচ্ছেন ফ্রান্সে। ওই মাসের ২০ তারিখ কান কমিটি জানাবে কোন কোন ছবি প্রাইজ পাবে। প্রাইজ না পেলেও আক্ষেপ থাকবে না সৌরভের। দেড় বছর ধরে ডকুমেন্টারি ছবিতে অ্যাসিস্ট করা ২৯ বছরের পরিচালক খুশি এটা ভেবে যে, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জায়গা করে নেওয়ায় নিজেকে চেনাতে আর অসুবিধা হবে না। ফিচার ছবিতে পরিচালনা করার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারলেন।
হাসতে হাসতে সৌরভ বললেন, ‘‘মাঙ্গোয়ার গ্রামের ছেলের পক্ষে এটাই বিশাল বড়।’’