ছোটপর্দা, বড়পর্দা ছাড়িয়ে ওটিটি— অভিনেতা শরদ কেলকরের অবাধ যাতায়াত সব মাধ্যমে। তবে অভিনেতার দাবি, সেই সফর বিশেষ মসৃণ ছিল না। শরদের কথায়, “প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পেরেছি আমি।” তাঁর মতে, ওটিটি-ই পরিচিতি গড়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে তাঁকে।
প্রায় ৮ বছর ছোটপর্দায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অবশেষে ফিরছেন ৪৮ বছর বয়সি অভিনেতা। তাঁর অভিনয়জীবন নতুন সংজ্ঞা পেয়েছে ওটিটির কারণে, মত শরদের। তিনি বলেন, “ওটিটি-তে যে ধরনের চরিত্র আমি পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আমার মতে, ওটিটি-র উন্নতি ধাপে ধাপে হয়েছে। কী কাজ করতে আমি পারব সেটা আমি জানি। যদি কোনও চরিত্র আমার সঙ্গে খাপ না খায়, আমি সেটা করব না, সেটা যত বড় প্ল্যাটফর্মেরই কাজ হোক না কেন।” ছোট শহর থেকে এসে মুম্বইয়ে স্বপ্ন সত্যি করছেন শরদ। তিনি মনে করেন, ওটিটি আসায় পরীক্ষানিরীক্ষা করার সুযোগ বেড়েছে, যেখানে ঝুঁকি নেওয়া যায়।
২০২৪ সালে ‘শ্রীকান্ত’ বা ‘ডক্টর্স’-এর মতো কাজ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ়। এমন অনেক গল্প ওটিটিতে নিজের স্থান পেয়েছে যা হয়তো কোনও দিনই বড়পর্দা পর্যন্ত পৌঁছোতে পারত না, মত শরদের। অভিনেতা বলেন, “এমন সব চরিত্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ওটিটি, যা হয়তো কখনও বড়পর্দার জন্য লেখাই হত না। এই মাধ্যম পুরো খেলা বদলে দিয়েছে। অভিনেতাদের দ্বিতীয় জন্ম দিয়েছে এই মাধ্যম। মানুষ পুরনো অনেক কাজ নতুন করে দেখা শুরু করেছেন, ফলে নতুন দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে।”
আরও পড়ুন:
তা হলে কি ওটিটি-র কোনও খারাপ দিক নেই? অবশ্যই আছে, হারিয়ে যাওয়ার ভয়! অভিনেতা বলছেন, “ওটিটি-তে এত কাজ আছে যে অভিনেতা হারিয়ে যেতে পারেন। তাই মনে হয় যে ভাবনাচিন্তা করে কাজ বাছাই প্রয়োজন। কখনও কখনও ‘হ্যাঁ’ বলার মতোই ‘না’ বলতে পারাটাও প্রয়োজন। জীবনের প্রতিটা অধ্যায় আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে। সাফল্য, ব্যর্থতা, ছোটপর্দা, বড়পর্দা বা ওটিটি— পুরোটা নিয়েই উন্নতি আমার।”