প্রথম ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’। শ্রুতি দাস তখন থেকেই চর্চায়। কখনও তাঁর গায়ের রং নিয়ে। কখনও তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে। তবে নিন্দকরা একটি বিষয়ে একমত। শ্রুতি অভিনয়টা সত্যিই ভাল পারেন। ‘ত্রিনয়নী’র পরে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দেশের মাটি’। ‘নোয়া’ হয়ে আবারও ছোট পর্দায় ফিরেছেন। আবারও তাঁকে নিয়ে চর্চা। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি এক শ্রেণির দর্শকদের। বহু জন তাঁর মৃত্যু কামনাও করেছেন! ধারাবাহিক অনেক দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন ধারাবাহিকের ভিড় চ্যানেলে-চ্যানেলে। শ্রুতি কিন্তু কোথাও নেই! কেন? শুক্রবার সকালে তারই জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, ‘অন্য রকমের মুখ, অন্য ধারার চরিত্রে সাবলীল বা তথাকথিত নায়িকা নন- এই ধরনের কথা সাক্ষাৎকারে শুনতে বেশ লাগে। প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম আর কষ্ট পাওয়ার যুদ্ধটা বোধহয় আমার একার।’
দুটো ধারাবাহিকে নিজেকে প্রমাণ করার পরেও কাজের জন্য লড়তে হচ্ছে শ্রুতিকে। সেই যন্ত্রণাই কি প্রকাশ পেল? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল অভিনেত্রীর কাছে। বরাবরের মতোই সপাট শ্রুতি। বলেছেন, ‘‘এক দিন বা দু’দিন নয়, রোজ আমায় প্রমাণ দিতে হয় আমি অভিনয় জানি।’’ সেই জন্যেই কি কাজের ঝুলি শূন্য? অথচ একের পর এক নতুন ধারাবাহিক তো আসছে। শ্রুতির বক্তব্য, ডাক তিনিও পাচ্ছেন। ক্যামিও চরিত্র বা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে! একটি ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেই ডাক পেয়েছিলেন। আচমকা টেলি পাড়া মারফত জানতে পারেন, তাঁকে সরিয়ে অন্য অভিনেত্রীকে নেওয়া হয়েছে। কেউ এক বার তাঁকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি!