কী বললেন রূপঙ্কর? সাংবাদিক বৈঠকে রুপঙ্কর।
‘‘প্রয়াত কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিদ্বেষ নেই। থাকার কোনও প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্য আপনারা এরকম দরদ দেখান।’’ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন রুপঙ্কর।
বিবৃতিতে রুপঙ্কর বলেন, ‘‘মুহূর্তের অসতর্কতা যে এমন গনগনে এবং মারমুখী আবেগ বয়ে আনবে কে জানত! এত ঘৃণা! এত আক্রোশ! এত বিরুদ্ধতা— কিন্তু অনেকটা তৈরি হল আমার বক্তব্য আমি ঠিক মতো গুছিয়ে বলতে না পারায়।
আমার সঙ্গীত জীবনে এমন বিভীষিকার মুখোমুখি হব ভাবিনি। যেখানে ওড়িশায় বসে করা একটি ভিডিয়ো পোস্টে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে যা আমার গোটা পরিবারকে ঠেলে দেবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা এবং মানসিক নিপীড়নের মাধ্যমে।
গায়ক হিসেবে আমার কোনও হতাশা নেই। কেকে-র প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষও নেই। যা বলেছি, সমষ্টিগত হতাশা থেকে বলেছি। তার পর এমন প্রভাব পড়বে ভাবিনি। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রূপঙ্কর বাগচী।
আমার ব্যক্তিগত হতাশা নেই, সমষ্টিগত হতাশা আছে। তাদের কথা বলতে গিয়েছিলাম। এমন বিতর্ক হবে ভাবতে পারিনি।
গায়ক রূপঙ্কর বাগচী একটি কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার ‘জিঙ্গল’ গেয়েছিলেন। জনপ্রিয় সেই ‘জিঙ্গল’ নিয়ে এ বার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ওই সংস্থা। বলিউড গায়ক কেকে-কে নিয়ে করা রূপঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন না করার কথা বলে শুক্রবার তারা নেটমাধ্যমে জানিয়েছে, জিঙ্গল নিয়ে যথা সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘হু ইজ কেকে ম্যান’? অর্থাৎ, ‘কেকে কে’? ফেসবুক লাইভে এসে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর এই মন্তব্যের পর শুরু হয় বিতর্ক। তিনি দাবি করেন, কেকে-র মতো ‘বম্বে’ শিল্পীর চেয়ে বাংলার শিল্পীরা অনেক ভাল গান করেন। তার মধ্যেই মঙ্গলবার কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কেকে-র। বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছয়। এমনকি, খুনের হুমকি পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন রূপঙ্করের স্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy