গত মাসে একটি অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন সোনু। ভার্গো নগরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নানা হিন্দি গানের মাঝে কন্নড় গান গাইতে বলায় খোলা মঞ্চে মেজাজ হারিয়েছিলেন গায়ক।
আপাতত স্বস্তি পেলেন সোনু নিগম। বৃহস্পতিবার কর্নাটক হাই কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত গায়কের বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। পাশাপাশি গায়কের করা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বয়ান রেকর্ডের আবেদনেও সায় দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, সশরীরে উপস্থিত হতে হবে না সোনুকে। তবে তদন্তকারী আধিকারিক যদি মুখোমুখি কথা বলতে চান তা হলে তিনি তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যয়ভার বহন করতে হবে সোনুকেই।
আরও পড়ুন:
গত মাসে একটি অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন সোনু। ভার্গো নগরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নানা হিন্দি গানের মাঝে কন্নড় গান গাইতে বলায় খোলা মঞ্চে মেজাজ হারিয়েছিলেন গায়ক। কন্নড় গানের দাবি করা যুবকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে, তার অন্যতম কারণ হল এটাই। এইমাত্র যেটা করলে তুমি, সেটাই সবচেয়ে বড় কারণ। কে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটা তো এক বার দেখুন। আমি কর্নাটকের মানুষকে ভালবাসি। আমি আপনাদের সকলকেই ভালবাসি।”
এর পরই উস্কে ওঠে বিতর্ক। ‘কর্নাটক রক্ষা বেদিকে’ নামের একটি কন্নড়পন্থী সংগঠন সোনুর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু শহর জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তাদের দাবি, গায়কের বক্তব্য কন্নড় ভাষাভাষীদের অনুভূতিতে গভীর ভাবে আঘাত করেছে। ‘কুলাডাল্লি কিল্যাভুডো’ নামে একটি কন্নড় ছবির কাজও হারাতে হয় সোনুকে।
শুনানি চলাকালে সোনুর আইনজীবী ধনঞ্জয় বিদ্যাপতি দাবি করেন, গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। গানের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নেই মিটে গিয়েছিল, অভিযোগ দায়ের করেছে তৃতীয় পক্ষ। সোনুর বক্তব্য খতিয়ে দেখে তার উদ্দেশ্য বিচার করার আবেদনও করেন ধনঞ্জয়।