বহু হিট গান তাঁর ঝুলিতে। আশির দশক থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর গাওয়া বহু গান জনপ্রিয়। সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। একসময় মাসে ১০০ টাকা উপার্জন ছিল তাঁর। এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। ‘সুরের সম্রাট’ বলেও অনেকে ভালবেসে তাঁকে সম্বোধন করেন। ১ ডিসেম্বর ৭০ বছর পূর্ণ হবে তাঁর। হিট, ফ্লপ, বিতর্কে মোড়া তাঁর জীবন। সাধারণ পরিবারে জন্ম তাঁর। বলিউডের যাত্রা যে খুব মসৃণ ছিল তা নয়। জন্মদিনে, জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু অজানা অধ্যায়।
সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা মা
নেপালের কাঠমান্ডুতে জন্ম উদিতের। বাবা ছিলেন কৃষক। তবে তাঁর সঙ্গীতের প্রথম প্রেরণা ছিলেন মা। লোকশিল্পী হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই ছোটবেলা থেকেই গানবাজনার প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় উদিতের। নানা ছোটখাটো স্টেজ পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয় গানের যাত্রা। প্রথম দিকে খুব একটা পরিচিতি মেলেনি।
মাত্র ১০০ টাকায় চাকরি— জীবনের কঠিন দিনগুলো
১৯৭১ সাল তাঁকে প্রথম বড় সুযোগ এনে দেয়। সেই বছর কাঠমান্ডু রেডিয়োর জন্য ‘সুন সুন সুন পনভরনি গে তনি ঘুরিয়ো কে তাক’ গানটি তাঁর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়। স্থানীয় ভাবে কিছু পরিচিতি মিললেও, বড় সুযোগের সন্ধানে তিনি চলে আসেন মুম্বই। কিন্তু সেখানে শুরু হয় কঠোর সংগ্রাম— একটি হোটেলে চাকরি করে মাত্র ১০০ টাকা রোজগারে দিন কাটাতে হত তাঁকে।
প্রথম বড় সুযোগ
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৮০ সালে আসে তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। ‘উন্নীস-বীস’ সিনেমায় মহম্মদ রফির সঙ্গে ‘মিল গয়া’ গানটি গেয়ে বলিউডে অভিষেক হয় উদিত নারায়ণের। এর পর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘স্বদেশ’, ‘বীর–জারা’, ‘মেলা’, ‘ধড়কন’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘তেরে নাম’— এমন অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে তাঁর গাওয়া গান আজও শ্রোতাদের মনে স্থায়ী জায়গা করে রেখেছে।
বিতর্কিত উদিত
তবে শুধু গানের জন্য নয়, বিতর্কের কারণেও তিনি শিরোনামে এসেছেন। চলতি বছরের শুরুতে এক লাইভ কনসার্টে নিজস্বী তুলতে আসা এক মহিলা ভক্তকে হঠাৎ ঠোঁটে চুম্বন করেন উদিত । মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। সমালোচিতও হতে হয় তাঁকে।