শর্মিলা ঠাকুর তখন অভিনয় জীবনের মধ্যগগনে। ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে বিকিনি পরে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। খ্যাতি ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পরের বছরেই, অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনসুর আলি খান পটৌডীকে বিয়ে করে ফেললেন! শোনা যায়, সেই খবর ছড়াতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলেন টিনসেল টাউনের অনেকেই। আনাচে-কানাচে তখন একটাই গুঞ্জন, নিজের হাতে নিজের পেশাজীবন শেষ করে ফেললেন সম্ভাবনাময়ী নায়িকা! বাস্তবে অবশ্য তেমন কিছুই হয়নি। ছবির জগতে আজও তারপর দাপটে কাজ করে গিয়েছেন শর্মিলা। আজও তিনি সক্রিয়। পাশাপাশি, বাবা-মায়ের সফল দাম্পত্য জীবন নিয়েও গর্বিত ছেলেমেয়েরা। তাঁদের কিছু অজানা কথা ফাঁস করলেন মেয়ে সোহা।
সম্প্রতি সোহা তাঁর পডকাস্টে সোনাক্ষী সিন্হার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মা–বাবাকে নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। তিনি বলেন,‘‘আমার মা এক বার বলেছিল, আমার বাবা ঘুম থেকে ওঠার খানিক আগেই নাকি মা উঠে যেত। উঠে খানিকটা রূপটান সেরে ফের ঘুমিয়ে পড়ত। কারণ, মা তো শর্মিলা ঠাকুর! তাই যাতে বাবা ঘুম থেকে উঠে সেই শর্মিলা ঠাকুরকে দেখতে পায়, সে কারণেই মা ওটা করত।’’ তবে খুব কম সময়ের জন্যই ওই অভ্যাসটা মায়ের ওই অভ্যাসটা ছিল বলে সোহা জানান।
আরও পড়ুন:
সোহা নিজে অবশ্য স্বামী কুণালের সঙ্গে রূপটান ছাড়া থাকতেই পছন্দ করেন। সোহার অতিথি সোনাক্ষীও জানান, তাঁর ও স্বামী জ়াহিরের সম্পর্কের মাঝে বাহ্যিক সৌন্দর্য কখন অন্তরায় হয়নি। বরং একে অপরকে ভালবাসার পিছনে অন্য নানা কারণই কাজ করেছে তাঁদের মধ্যে।
সোহা একাধিক বার বলেছেন, “আমার বাবা প্রচণ্ড উদারচেতা। মায়ের কাজকে মর্যাদা দিয়েছিলেন। কোনও দিন অভিনয়ে বাধা দেননি। ফলে, বিয়ের পরেও মা চুটিয়ে অভিনয় করেছে।” সোহা এও জানান, তাঁর মা প্রচণ্ড স্বাধীনচেতা। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে উপার্জন শুরু করেছেন। সাহসী পোশাক পরে পর্দায় আসতেও অস্বস্তি বোধ করেননি কোনও দিন।