সৌমিত্র এবং শাশ্বত 'তখন কুয়াশা ছিল' ছবির একটি ফ্রেমে।
বিশ্বাস ছিল, তিনি ফিরে আসবেন। ফের উদয়ন মাস্টার শেখাবেন বেঁচে থাকার মন্ত্র। কিন্তু কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ছবির শ্যুটিং এর মাঝেই দুঃসংবাদ। ‘সৌমিত্র জেঠু’র মৃত্যু সংবাদটা মেনে নিতে পারছি না।
উনি জানতেন না। ওঁকে বলা হয়নি কখনও। আমার ডাকনাম ‘অপু’, ওঁর ‘অপুর সংসার’ দেখে আমার জ্যাঠতুতো দাদা নামটা দিয়েছিলেন। বাবা ( শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সেটা অনায়সে মেনে নেন। সেই থেকে আমি ‘অপু’।
আজ ওঁর জন্য কষ্ট হলেও একটা কথা খুব মনে হচ্ছে। বেঁচে গেলেন উনি। অনেক দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন। ওঁর চারপাশের মানুষগুলোও কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের মাথার উপর থেকে যেন ছাতাটা সরে গেল। শেষের দিকে শৈবাল মিত্রের ছবিতে কাজ করছিলাম ওঁর সঙ্গে। রাতে দেখতাম, হোটেলের ঘরে লিখে চলেছেন। শ্যুটের পরেও অন্য কাজ নিয়ে বসতেন।
তাঁদের শেষ দেখা ‘বসু পরিবার’ করতে গিয়ে
আরও পড়ুন: ফেলুদা করতে গিয়ে সৌমিত্রবাবুকে অনুসরণ করেছি, অনুকরণ করিনি
বোলপুরে ওঁর সঙ্গে কাটানো সময়গুলোর কথা আজ খুব মনে পড়ছে ।ওঁর সঙ্গে সময় কাটানো একটা অভিজ্ঞতা। মাঝে মাঝে লেখা পড়েও শোনাতেন। ওঁর ভাষার দখল দেখে অবাক হয়ে যেতাম।
শেষ দেখা ‘বসু পরিবার’ করতে গিয়ে। বাংলা সংস্কৃতি চর্চার এক যুগের অবসান হল।
আরও পড়ুন: বাবার শেষ পড়া বই ‘১৬০৬: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার অ্যান্ড দ্য ইয়ার অফ লিয়ার’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy