সিউড়ির নাট্য সংস্থাটির একটি নাটকের দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
‘সারা বছর নাটক দেখুন, নাটকের পাশে থাকুন’— এই স্লোগান তুলে বছরভর নাটকে মেতে রয়েছে সিউড়ির ‘ইয়াং’ নাট্য সংস্থা। নতুন নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি সম্প্রতি দ্বিমাসিক নাট্য উৎসব আয়োজন করে ছ’টি পরীক্ষামূলক নাটক মঞ্চস্থ করল তারা। গত শনিবার সন্ধ্যায় সিউড়িতে রামকৃষ্ণ সভাগৃহে উৎসবের শেষ নাটক (মোহন রাকেশ রচিত, একদা ‘বহুরূপী’র শম্ভু মিত্র পরিচালিত) ‘সেকেন্ড বেল’ মঞ্চস্থ হয়েছে। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সত্তর জন শিশু, কিশোর–কিশোরী ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ে। নতুন এই প্রজন্মের কাজকর্ম দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলার প্রবীণ অভিনেতা-পরিচালক বাবুন চক্রবর্তী থেকে সাঁইথিয়ার বিজয় দাস প্রমুখ।
সংস্থা সূত্রের দাবি, সংস্থার ৩০ জন শিশু কুশীলব গত ১৫ বছরে ২০টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। তারা এখন অনেকেই কিশোরকিশোরী। কিন্তু, তারা নিয়মিত নাটক করে চলেছেন। ফের নতুন করে একঝাঁক শিশু ওই সংস্থায় নাটক করতে এসেছে। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কিশোরকিশোরী, কলেজ পড়ুয়া এবং কয়েক জন স্নাতক— সব মিলিয়ে ৪৫ জন কুশীলব এখনও পর্যন্ত ৬৯টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে বলে সংস্থার দাবি। উত্তরবঙ্গ ছাড়া সমগ্র রাজ্যজুড়ে সে সব অভিনয় মঞ্চস্থ হয়েছে। তার মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে ‘পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি’ আয়োজিত নাট্যমেলায় কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটার হলে নটী বিনোদিনীর আত্মকথা নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে পুরস্কৃত হয়েছেন বলে সংস্থার অন্যতম কর্ণধার নির্মল হাজরা জানিয়েছেন। নাটকে বিনোদিনী চরিত্রে এক সঙ্গে ছ’জন অভিনয় করেছে। অধিকাংশ নাটকই সংস্থার সদস্যদের লেখা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের ছাত্রী সরস্বতী দাস নাটক লেখেন, নির্দশনা এবং মেকআপের কাজও করেন। সফল নাট্য উৎসবের পরে বুধবার নির্মল গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের এই তরতাজা দলে একাধিক মেকআপ ম্যান এবং আলোকশিল্পী রয়েছেন। তারা সবাই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy