ছবিতে সঞ্জুর কাছে দেশই সব। দেশই প্রথম ভালবাসা। দেশের জন্য জীবনের বাজি রাখা ‘ইস্কাবনে’র আর্মি অফিসার শিব মুখোপাধ্যায় কখন যেন হয়ে উঠেছেন আমজনতার নয়নের মণি।
‘ইস্কাবন’ ছবির দৃশ্য
ভিতরে ভিতরে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বাংলা সিনেমা 'ইস্কাবন' কে ঘিরে সিনেপ্রেমী দর্শকদের মনে উৎসাহ তুঙ্গে। অনেকেই চাইছেন ছবিটি দেখতে। তবে তৃতীয় সপ্তাহে 'ইস্কাবন' রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি হল ছুঁয়ে ফেলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জঙ্গলমহল, প্রেম, রাজনীতি, ষড়যন্ত্র, হত্যার ছবি ‘ইস্কাবন'। গ্রামের নায়কের শহর জয় করার গল্প 'ইস্কাবন'! শহর পেরিয়ে গ্রামের সিনেমাহলগুলিতে দর্শকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছবি ‘ইস্কাবন'। দ্বিতীয় সপ্তাহেও পরিচালক মনদীপ সাহার 'ইস্কাবন' সগৌরবে চলছে।
বাংলা সিনেমার মন্দার বাজার কাটিয়ে রেকর্ড গড়েছিল 'অপরাজিত'। এর পরে বেশ কয়েকটি ছবি বাজারে এলেও, সেই ছবিগুলি তেমন বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখেনি। তবে নতুন এসএমডি এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশন হাউজের ‘ইস্কাবন’ ছবিতে দর্শকদের নজর কেড়েছে ছবির নায়ক সঞ্জু। বড় পর্দায় নবাগত। কিন্তু তাঁর অভিনয় মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। তাঁকে দেখেই চমকে গিয়েছে ১৭ থেকে ৭০।
ছবিতে সঞ্জুর কাছে দেশই সব। দেশই প্রথম ভালবাসা। দেশের জন্য জীবনের বাজি রাখা ‘ইস্কাবনে’র আর্মি অফিসার শিব মুখোপাধ্যায় কখন যেন হয়ে উঠেছেন আমজনতার নয়নের মণি। বাংলার ঘরের ছেলে। ভারতীয় সেনার বৃহত্তর লড়াইয়ে বীর জওয়ান শিবের ভূমিকায় নবাগত আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র সঞ্জুর অভিনয়, যেন আড়ষ্ঠতা কাটিয়ে, প্রশান্তি এনেছে সবার মনে। সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের কাছে তাঁর লুক ছিল নতুনত্বের। বৃহত্তর বাংলার বাঙালি সমাজে দেশের ভিতরের শত্রু আর বাইরের শত্রুদের লড়াইয়ে শিবের অভিনয় দেখে কেউই মনে করবেন না, যে, এটা তাঁর প্রথম বড়পর্দায় অভিনয়।
ছবির কাহিনীকার রাধামাধব মণ্ডল বলছেন, সঞ্জু শুধু অভিনয়ই করেনি। সে গল্পের একজন ভিতরের চরিত্র হয়ে উঠেছে। ‘ইস্কাবন’এর আবহের কাণ্ডারি দেবজ্যোতি মিশ্রের বক্তব্য, “সঞ্জু দারুণ অভিনয় করেছেন ছবি জুড়ে। দুঁদে অভিনেতা সৌরভ দাস, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, দুলাল লাহিড়ীদের কাছে, সে কোনও অংশে কম নয়।” সঞ্জুকে আগামী দিনে সফল একজন নায়ক হিসেবে পাওয়ার আশায় বেশ আশাবাদী 'ইস্কাবন' এর গায়ক, কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তীও।
এছাড়াও ‘ইস্কাবন’ ছবির খলনায়ক সন্টু সোরেনের চরিত্রে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। তিনিও মনে করেছেন আগামী দিনে টলিউডের আকাশে নক্ষত্র হয়ে জ্বলতে পারে সঞ্জু। নবাগত নায়ক জঙ্গলমহলের সঞ্জুকে সিনেমার পর্দায় দেখে, খুশি জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষরাও। তাঁরা অনেকেই হল থেকে বেড়িয়েই সঞ্জুর ছবির পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে। এমনকি সিনেমাহলেও সঞ্জুকে নিয়ে উদ্মাদনা চোখে পড়ার মতো। যেন প্রথম ছবিতেই কামাল করে দিয়েছেন আউশগ্রামের সঞ্জু। তাঁকে ঘিরে তার জেলা শহর বর্ধমানেও উদ্মাদনা তুঙ্গে। এদিকে শহর কলকাতায় তৃতীয় সপ্তাহের দৌড়ে ‘ইস্কাবন’। ধীরে হলেও বক্স অফিসে সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলছে ‘ইস্কাবন’; আর নতুন করে নায়ক সঞ্জুকে ঘিরে বাড়ছে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সিনেমহলে।তাহলে কি 'ইস্কাবন'র হাত ধরেই নতুন পরিচিতি পাবে নায়ক সঞ্জু? ‘ইস্কাবন’—এর পরিচালক মনদীপ সাহা বলছেন, মানুষ দলে দলে গিয়ে আমাদের ছবি দেখছেন, এটাই আনন্দের। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে তৃতীয় সপ্তাহের দৌঁড়েও মনে হচ্ছে আমরা সফল হব। তবে জনতাই শেষ কথা। দেখা যাক তারা কতদিন আমাদের সঙ্গ দেয়। কারণ এই সাফল্যের মূল কাণ্ডারি ‘ইস্কাবন’ এর দর্শকরাই।
এই প্রতিবেদনটি ‘ইস্কাবন’এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy