একটি প্রদর্শনী ম্যাচের আগে জিতেন্দ্র, জনি ওয়াকার, অমিতাভ বচ্চন, দিলীপকুমার, অনিল চট্টোপাধ্যায় ও রবি ঘোষ
আর সন্দীপ্তা ‘দুর্গা’ সেন? ক্লাস টেন অবধি কখনও মাঠে, কখনও গ্যারেজে বল পিটিয়েছেন। এখনও হাত নিশপিশ করে ‘হাউজদ্যাট’ শুনলে! প্রিয় ক্রিকেটার কে জানতে চাইলে, ‘দাদা’ দিয়ে শুরু করে সচিন, ধোনি হয়ে কোহালিতে এসে ফুলস্টপ দিলেন। সে কী! সুন্দরী-ভক্তের তালিকায় কোনও বোলার নেই? উত্তর, ‘‘ওফ্ফ্, শোয়েব আখতার! কত্তো দূর থেকে ছুটে আসত, চুলগুলো হাওয়ায় উড়ত। পুরো বাঘ!’’
বাংলার সিনে-মহলে পরদার ও-পিঠও আছে! তিনি মুমতাজ। গুচ্ছের স্পোর্টস-এ আগ্রহ থাকলেও ক্রিকেটে ইন্টারেস্ট লবডঙ্কা।
প্রসেনজিতের খেলার শুরু পাড়া ক্রিকেট কিংবা দমদমের বাড়িতে বিশাল খোলা চত্বরে। তিনি আবার ক্রিকেটে নিজের চেয়ে বাবা বিশ্বজিৎকে এগিয়ে রাখেন। বলছিলেন, ‘‘বাবা খেলতেনও ভাল। বাবার জন্যই এক সময় গাওস্কর, কপিলদেব, কার্সন ঘাউড়ির ঘনিষ্ঠ হই। গাওস্করকে একবার কলকাতা দেখানোর ভারও পড়ে আমার ওপর। শিল্পী সঙ্ঘের একটা ম্যাচ মনে পড়ে। উত্তমজেঠু অ্যারেঞ্জ করেছিল। অমিতাভ বচ্চনও এসেছিলেন।’’ আর একটা চ্যারিটি ম্যাচে গাওস্কর ব্যাট করতে নামবেন। ‘‘হঠাৎ দেখি, পকেট থেকে নিজের পার্সটা বার করে আমায় দিয়ে বললেন, ‘এটা একটু রাখবে?’ আমি কেমন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ভ্যাবলা বনে গিয়েছিলাম,’’ যৌবনের স্মৃতি বলছিলেন বুম্বা।
কোনও দিন চোট্টামি করেছেন? এ প্রশ্নে হঠাৎ সিরিয়াস যিশু, ‘‘কক্ষনও না। আউট বুঝলে আম্পায়ারের আঙুল তোলার অপেক্ষা করিনি।’’
ক্লাস এইট থেকে সিরিয়াস ক্রিকেটের শুরু যিশুর। তার পর এলগিন রোডে বালক সঙ্ঘের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন। গোপাল বসু কোচ। ফার্স্ট ডিভিশন সুবার্বানের হয়ে। মিডিয়াম পেসার। ডান হাতি ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরিও আছে। আন্ডার থার্টিন-এ বেঙ্গল খেলেছেন। ‘‘চিত্রাঙ্গদা’র শ্যুটিং। এ দিকে সিসিএল-এর প্র্যাকটিস ম্যাচ। ঋতুদার (ঋতুপর্ণ ঘোষ) পায়ে পড়ে গিয়েছিলাম। ঋতুদা প্রচণ্ড খাপ্পা হয়ে, পরে খেলতে ছেড়েছিল।’’ নিজের ক্রিকেট-পাগলামির গল্প শোনালেন যিশু।
পরমের গল্প একটু অন্য। দোলনা স্কুলে টেবলটেনিস ব্যাট আর বলে ক্রিকেট। বালিগঞ্জ স্টেশন রোডে পাড়া-ক্রিকেট। কিন্তু খেলা যত না, দেখার গল্প তাঁর বেশি। এখনও উত্তেজিত ইডেনে ল্যান্স ক্লুজনারকে ছাতু করে আজহারের শৈল্পিক তাণ্ডব। সচিনের প্রথম সেঞ্চুরি দেখেছিলেন সারাক্ষণ একটা সাইকেলের টায়ার ছুঁয়ে বসে থেকে। সংস্কার আর কী! টায়ার ছাড়লেই সচিন যদি আউট হয়ে যান!
সন্দীপ্তা ভবানীপুরে নীলকুঠির মাঠে ছেলেদের সঙ্গেও বল পিটিয়েছেন। আউট নিয়ে ধাক্কাধাক্কি, ঝগড়া লেগেই থাকত সেখানে। তাঁর এক জেঠু এখনও বিবেকানন্দ পার্কে কোচিং করান।