Advertisement
০৫ মে ২০২৪
soumitro chattopadhyay

Habu Chandra Raja: প্রকাশ্যে ‘হবুচন্দ্র রাজা’র ট্রেলার, দেবের সৌজন্যে ফিরলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

ট্রেলারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গমগম করেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর।

পুজোয় প্রযোজক দেব অধিকারী তাঁর পর্দার প্রিয় ‘ছানাদাদু’কে এ ভাবেই ফিরিয়ে আনতে চলেছেন।

পুজোয় প্রযোজক দেব অধিকারী তাঁর পর্দার প্রিয় ‘ছানাদাদু’কে এ ভাবেই ফিরিয়ে আনতে চলেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪০
Share: Save:

শুরুতে সাদা-কালো ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ। তার পরেই তাঁর কণ্ঠস্বর। পুজোয় প্রযোজক দেব অধিকারী তাঁর পর্দার প্রিয় ‘ছানাদাদু’কে এ ভাবেই ফিরিয়ে আনতে চলেছেন। তাঁর পুজো মুক্তি ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’র মাধ্যমে। পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘দাদামশাইয়ের থলে’র দু’টি গল্পকে নিয়ে ছোটদের জন্য ছবি বানিয়েছেন। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ সহ এক ঝাঁক তারকা অভিনেতা। তারই ট্রেলার মুক্তি পেল শনিবার বিকেলে। যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গমগম করেছে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতার কণ্ঠস্বর।

ছবিতে ব্যবহৃত ছন্দ-মেলানো সংলাপ, কুচক্রী মন্ত্রী ইত্যাদি মনে করাতেই পারে ‘হীরক রাজার দেশে’ এবং তার পূর্বসূরী ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-কে। মনে পরে যেতেই পারে এ বছর যে যে সেই সব কাণ্ডকারখানার স্রষ্টারও শতবর্ষ। আর ট্রেলারে দেখা পাঠশালার ঝলক ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই পারে ‘হীরক রাজার দেশে’-র উদয়ন পণ্ডিতের কাছে। শুধু আখ্যানকার হিসেবেই নয়, সৌমিত্রের ছায়া যেন এ ছবির অন্যত্রও।

ট্রেলারের আখ্যানে সৌমিত্র জানিয়েছেন, হিমালয় আর বিন্ধ্য পর্বতের মাঝের অঞ্চলে এক রাজ্য ছিল। পাহাড়, নদী, জঙ্গল, ঝর্ণায় ঘেরা এই রাজ্যের নাম বোম্বাগড়। সেখানকার রাজা হবুচন্দ্র। রানি কুসুমকলি আর রাজপুত্র প্রবালকুমার। রাজার ছত্রছায়ায় সুখ-শান্তিতে বসবাস করতেন সেই রাজ্যের প্রজারা। কিন্তু সব পাল্টে গেল গবুচন্দ্র নামের এক অদ্ভুত ধরনের মানুষ সে রাজ্যে পা রাখতেই। তার উপস্থিতিতে এবং বুদ্ধিতে বদলে গেল বোম্বাগড়। তার পর?

বয়স বাড়লেও যাঁদের মন এখনও শিশুসুলভ, রূপকথার গল্প শুনলে আনমনা হয়ে পড়েন, তাঁরা এবং ছোটরা গল্পের শেষ জানতে চাইলে দেখতে বাধ্য দেবের আগামী ছবি। রূপকথার ঢঙে, কৌতুকে মোড়া ছবি আদতে একুশ শতকের কথাই বলবে, শ্যুট শুরুর আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন পরিচালক এবং প্রযোজক। অতিমারি থাবা না বসালে ২০২০-র গরমের ছুটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবির। সেই মুক্তি পিছিয়ে হচ্ছে ২০২১-এর পুজোয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE