এরই সঙ্গে সবার মনে জন্ম নিয়েছে প্রচণ্ড কৌতূহল, তাহলে কি ত্রিকোণ প্রেমে উত্তাল হবে উজানের জীবন?
আরও পড়ুন- এ বার করোনা পজিটিভ ঐশ্বর্যা-আরাধ্যাও
চিত্রনাট্য বলছে, সেই সম্ভাবনাই বেশি। ঝিনুক খুব বেশিদিন আসেনি উজানের জীবনে। কিন্তু তার উপস্থিতি ছাপ ফেলেছে টিউলিপ নার্সিংহোমের আত্মকেন্দ্রিক চিকিৎসকের মনে। এবং উজান নিজেও ঝিনুককে একেবারে অস্বীকার করতে পারছে না। একাধিক বার সমস্যা থেকে তাকে বাঁচিয়েওছে সে।
একই ভাবে হিয়ার অভাবও তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সবার মধ্যে, সব কিছুর মধ্যে সে তার হিয়াকেই খুঁজছে। হিয়ার ছেড়ে যাওয়া অ্যাপ্রন, তার স্টেথো, অজানা নম্বর থেকে ফোন-- সব কিছুই উজানের কাছে ধরা দিচ্ছে ‘হিয়া’ হয়ে।
এবার প্রশ্ন, হিয়া কেন চলে গেছিল? ফিরছেই বা কেন?
আনলক স্তরে শুট শুরুর হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই চ্যানেল জানিয়েছিল, ‘হিয়া’ ওরফে অনামিকা চক্রবর্তীর বাড়ি কনটেনমেন্ট জোনে পড়ে যাওয়ায় তিনি শুটে আসতে পারছেন না। ফলে, হিয়াকে বিদায় জানাতেই হচ্ছে। অনামিকা নিজেও এ কথা জানিয়েছিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।
কিন্তু হিয়ার অভাব শুধু উজান নয়, বিঁধেছে দর্শকদেরও। তাই চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এসেছিল প্রতিবাদ, ‘হিয়া’ না ফিরলে ধারাবাহিক তার আকর্ষণ হারাবে। ফলে, সেই জায়গা থেকেও অনামিকার ফেরা জরুরি ছিল।
ধারাবাহিকের গল্পও সে কারণেই ইঙ্গিত করছে হিয়ার ফেরার দিকেই। এবং টেলিপাড়ার খবর, আবার নাকি শুট শুরু করেছেন অনামিকা।
এক পুরুষের জীবনে দুই নারীর উপস্থিতি এমনিতেই আরও মুচমুচে করে দেয় চিত্রনাট্য। সেখানে ‘উজান’ ওরফে শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটলে তো কথাই নেই।
হোক না সে রিল লাইফ, ত্রিকোণ প্রেমের আকর্ষণ এড়ানোর সাধ্যি কারোর আছে কি?