এ যেন ‘অভিমান’-এর পুনরাবৃত্তি!
৪৩ বছর পরে যেন রিল লাইফ ফিরে এল রিয়েল লাইফে!
১৯৭৩-এর ২৭ জুলাই। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ বচ্চন-জয়া ভাদুড়ি অভিনীত ‘অভিমান’। পেশাদার গায়ক সুবীরের (অমিতাভ বচ্চন) সঙ্গে গ্রামের মেয়ে উমার (জয়া ভাদুড়ি) প্রেম। সময়ের দাবি মেনে সে প্রেম বিয়েতে পরিণতি পায়। এর পর মুম্বইতে যখন উমার কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশ চড়ছে ঠিক তখনই একাকীত্বের অন্ধকারে ডুবে যান সুবীর। কাজ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন সেই যুবক।
৪৩ বছর আগের সেই চিত্রনাট্য যে অমিতাভ-জয়ার ছেলের জীবনের এমন বাস্তব ছবি হয়ে উঠবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি বচ্চন দম্পতি। এক দিকে বৌমা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের পর পর অভিনয়। মেয়ে আরাধ্যা হওয়ার পর সিলভার স্ক্রিন থেকে বছর পাঁচেকের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তার পর ‘জজবা’ দিয়ে দুরন্ত কামব্যাক। আর এখন রাই সুন্দরীর ‘সর্বজিত্’ নিয়ে চার দিকে তুমুল আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, কেরিয়ারের সেরা অভিনয় এই ছবিতেই করেছেন নায়িকা। অন্য দিকে, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেগুনি লিপস্টিকের নয়া স্টাইল স্টেটমেন্ট সেট করেও শিরোনামে এসেছেন তিনি।
কিন্তু কোথায় অভিষেক? তাঁর শেষ ছবি ২০১৫-এ ‘অল ইজ ওয়েল’। তা-ও সে ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এমনিতেই যাঁর বাবা অমিতাভ বচ্চন তাঁর তো একটা আলাদা চাপ থাকবেই। মা জয়াও তুখোড় অভিনেত্রী। আর স্ত্রী ঐশ্বর্যাও ফিল্মি জার্নিতে ছোটে বচ্চনের থেকে অনেক বেশি সফল। তাই একাকীত্ব, হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা এ সব তো থাকাই স্বাভাবিক। আর সেই অবসাদ অভিষেককে এতটাই ঘিরে ধরেছে যে সকলের সামনেও তা এড়াতে পারছেন না।
আরও পড়ুন, প্রকাশ্যে ঐশ্বর্যাকে এড়িয়ে গেলেন অভিষেক!
সম্প্রতি ‘সরবজিত্’-এর ট্রেলরের রেড কার্পেটে এক অন্য দাম্পত্যের ছবি দেখলেন দর্শক। সেখানে হাজির ছিল গোটা বচ্চন পরিবার। কিন্তু ঐশ্বর্যার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে একটু যেন অস্বস্তি হচ্ছিল অভিষেকের। নায়িকার ডাকও কেমন যেন এড়িয়ে গেলেন তিনি! আর গোটা ঘটনায় দৃশ্যতই হতাশ ঐশ্বর্যা। ক্যামেরার সামনে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেন নায়িকা।
এ সব দেখেই বি-টাউনে জোর গসিপ শুরু হয়েছে— অভিষেক-ঐশ্বর্যার কি ঝগড়া হয়েছে? কোনও বিষয়ে কি মতের অমিল হল তাঁদের? প্রকাশ্যে তো কখনও ঐশ্বর্যার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেননি অভিষেক! কী এমন হল, যাতে এত ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে ঐশ্বর্যাকে এড়িয়ে গেলেন ?
যদিও ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশের দাবি, এ যেন ঠিক রিয়েল লাইফের ‘অভিমান।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy