ফের বিতর্কে উর্বশী রৌতেলা। মুখ খুললেই কটাক্ষের শিকার হওয়া যেন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। এ বার প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে হুবহু নকল করে বিপাকে উর্বশী।
সমাজমাধ্যমে প্রিয়ঙ্কা যা-ই পোস্ট করছেন, সেগুলিই হুবহু ভাগ করে নিয়েছেন উর্বশীও। নৃতত্ত্ববিদ জেন গুডঅল-এর একটি উক্তি ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ভাগ করে নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই একই পোস্ট উর্বশীও নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন। তবে এই প্রথম নয়। মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তি ভাগ করে নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেটাও হুবহু ভাগ করে নেন উর্বশী। নেটাগরিকের নজর কিছুই এড়ায় না। তাঁরাই পর পর তুলে ধরেছেন, প্রিয়ঙ্কার প্রায় সব পোস্টই এই ভাবে টুকে দেন উর্বশী। এই দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়।
এর আগেও নানা রকমের মন্তব্যের জন্য তাঁকে নিয়ে মশকরা হয়েছে। কখনও তিনি নিজের দামি ঘড়ি দেখিয়ে ‘ট্রোল্ড’ হয়েছেন, কখনও অদ্ভুত উচ্চারণ করে খোঁচা খেয়েছেন। কিন্তু তাঁর গায়ে যেন কিছুই লাগে না। কোনও খারাপ লাগা নেই উর্বশীর মধ্যে। তাই উর্বশীকে দেখে অবাক নেটাগরিক। এক নেটাগরিক হাসির ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, “প্রিয়ঙ্কার স্টোরিগুলো হুবহু ভাগ করে নিচ্ছেন উর্বশী। সত্যিই ওকে আমি ভালবাসি।” আর এক নেটাগরিকও ব্যঙ্গের সুরে বলেছেন, “এই প্রথম কোনও সুন্দরী মহিলা প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পোস্ট নকল করলেন। উর্বশীকে কুর্নিশ।” আর এক নেটাগরিকের কথায়, “আমি সবসময় ভাবি, উর্বশী কি সত্যিই বোকা নাকি প্রচারে থাকার জন্য বোকা হওয়ার ভান করে? আসলে কোনও কথাই ওর গায়ে লাগে না। খুবই হাস্যকর। ওর এই আচরণ দেখলে হাসিই পায়। দারুণ!”
তবে উর্বশীর অনুরাগীরও অভাব নেই। এক অনুরাগী লিখেছেন, “ও মোটেই বোকা নয়। আমরা কিন্তু ওকে নিয়েই কথা বলছি। সেই প্রচারে এসে গিয়েছে ও। ও জানে কী ভাবে প্রচারে থাকতে হয়।”
উল্লেখ্য, উর্বশীর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ডাকু মহারাজ’। সেই ছবিতে নন্দমুরির সঙ্গে ‘দাবিড়ি দিবিড়ি’ গানের সঙ্গে নেচে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন।