আনন্দের মাঝেই শোকের আবহ। দীপাবলির আলো ম্লান করে চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা আসরানী। কৌতুকাভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। শোকস্তব্ধ বলিউড। খবর, দীর্ঘ রোগভোগের পর সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রয়াত অভিনেতার ভাইপো অশোক আসরানি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাঁর কাকা। কৌতুকাভিনেতার প্রকৃত নাম গোবর্ধন আসরানী। ঝুলিতে 'শোলে', 'চুপকে চুপকে', 'মেরে আপনে', 'বাওয়ার্চি', 'অভিমান', 'সরগম'-এর মতো জনপ্রিয় ছবি। সত্তরের দশকে রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র বা আমজাদ খানের পাশাপাশি তাঁর অভিনীত ‘জেলর’ চরিত্রটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওই চরিত্রে তাঁর সংলাপ বহুদিন দর্শকের মুখে মুখে ফিরত। প্রায় সাড়ে তিনশো হিন্দি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে ইতি ঘটল এ দিন।
সোমবার দীপাবলি, অসুস্থ অবস্থাতেও জানতেন আসরানী। খবর, মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে সমাজমাধ্যমে সবাইকে উৎসবের শুভেচ্ছাও জানান।
প্রয়াত অভিনেতার আপ্তসহায়ক বাবুভাই থিবানি জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন আসরানী। তিনি তাঁর স্ত্রী মঞ্জুকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, তাঁর শেষকৃত্যে যেন প্রচুর মানুষ ভিড় না করেন। অভিনেতার শেষইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও পরিজনের উপস্থিতিতে মুম্বইয়ে আসরানীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৪০ সালে রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম আসরানীর। সেখানেই সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা। প্রথাগত শিক্ষার শেষে পুণের ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। যাটের দশকের শুরুতে তাঁর বলিউডে প্রবেশ। কেরিয়ারের প্রথম দিকে তিনি বহু জনপ্রিয় ছবিতে অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পরের দিকে অধিকাংশ ছবিতে তাঁকে কৌতুকাভিনেতা হিসেবেই দেখা গিয়েছে। অসামান্য দক্ষতা ও সময়জ্ঞানের মিশ্রণ ঘটিয়ে কৌতুকাভিনয়কে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন।