Advertisement
E-Paper

আমার চোখের নীচে সব সময় ডার্ক সার্কল থাকে

তিনি রিল্যাক্স করেন না। ভেকেশনেও খুব কম যান। ভালবাসেন শুধু কাজ। অনামিকা খন্না। বিখ্যাত ডিজাইনারের মুখোমুখি আনন্দ প্লাস তিনি রিল্যাক্স করেন না। ভেকেশনেও খুব কম যান। ভালবাসেন শুধু কাজ। অনামিকা খন্না। বিখ্যাত ডিজাইনারের মুখোমুখি আনন্দ প্লাস

পারমিতা সাহা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:২১
অনামিকা খন্না।

অনামিকা খন্না।

প্র: একাধারে আপনি ক্রিয়েটিভ মানুষ। অন্য দিকে বিজনেসউওম্যানও বটে! দুটো দিক সামলান কী ভাবে!

উ: আই হেট বিজনেস পার্ট। এবং দুটো মানিয়ে চলা খুব কঠিন। তবে ভাগ্যবান যে, আমার একটা সাপোর্টিভ টিম আছে। সৃজনশীল কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা সামলাতে হলে আর বিজনেস হতো না। তবে কাজটা খুব-খুব-খুব চ্যালেঞ্জিং! আই ওয়র্ক হার্ডার দ্যান থার্টি উইমেন পুট টুগেদার, আই ক্যান টেল ইউ দ্যাট। তাই আমার সব সময় ডার্ক সার্কল থাকে, দেখুন (চোখের নীচের অংশ দেখিয়ে)!

প্র: নিজেকে কি আন্ত্রেপ্রেনিয়র বা সংগঠক বলে মনে করেন?

উ: আমি স্ক্র্যাচ আন্ত্রেপ্রেনিয়র। শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম।

প্র: কী ভাবে শুরু হল সফর?

উ: শুরু হয়েছিল একটা ছোট্ট আইডিয়া থেকে। আর আজ সে অনেক বড়। এটা হতে পেরেছে আমার কর্মীদের জন্য এবং আমিও ওদের সাপোর্ট করেছি বলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি এগিয়েছি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মিশে শিখেছি অনেক। সঙ্গে এই বোধটাও ছিল যে, বিজনেস বাড়িয়ে তুলতে হবে। দুটো দিকই আমাকে গড়ে তুলেছে।

প্র: এর বীজ কি আপনার মধ্যে গোড়া থেকেই ছিল?

উ: না। আমার জন্য এটা জাস্ট বাই চান্স। তখন আমি খুবই ইয়ং, সবে কলেজ শেষ করেছি। সে সময়টায় পড়াশোনার সঙ্গে আরও অনেক কিছু সকলে করত। আমি কোনও দিন ভাবিনি ডিজাইনার হব। অবশ্য সময়টা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। আমরা অনেক সিম্পল ছিলাম। কিন্তু যখন বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই আমার কেরিয়ার, তখনই জানতাম, আই উইল গিভ ইট মাই ব্লাড। আমি সেটাই করেছি। কুড়ি বছরের বেশি হয়ে গেল ডে অ্যান্ড নাইট... ভোর পাঁচটা থেকে রাত ক’টা অবধি জানি না, শুধু কাজ করে গিয়েছি।

অনামিকার পোশাকে করিনা

প্র: রিল্যাক্স করেন কী ভাবে?

উ: আমি রিল্যাক্স করি না। কিন্তু যদি করতে হয় ক্রাইম সিরিজ দেখি। মার্ডার মিস্ট্রি সল্‌ভ করার জন্য।

প্র: সত্যিই কি নিজেকে কখনও কাজ থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন?

উ: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি যত পরিণত হয়েছি, কাজের ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াটা শিখেছি। তা না হলে পাগল হয়ে যাব। হয়তো কোনও পার্টিতে গিয়েছি, কেউ কাজ সম্পর্কে কথা বলতে এলে আমি বলি না। তারা হয়তো বলতে থাকল, অমুক পার্টিতে যাবে, তার জন্য এই পোশাক, সেই পোশাক নিয়ে কথা... তাদের জন্য এটা কাজ নয়, কিন্তু আমার জন্য। আর এই ব্যাপারটা বন্ধ হবে না। তবে আমি আমার কাজকে ভীষণ ভালবাসি। কাল রাতে এত টায়ার্ড ছিলাম, চোখ খুলতে পারছিলাম না। তার পরও দিল্লি থেকে বেশি রাতের ফ্লাইটে উঠেছি। এখানে পৌঁছে, সোজা নিজের কাজে। আই লাভ হোয়াট আই ডু। এমনকী, ভেকেশনেও খুব কম যাই।

প্র: ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। আবার স্টেটমেন্ট তৈরি করতে গেলে রিপিটেশন জরুরি। কন্সট্যান্ট এবং চেঞ্জ, দুটোই কী ভাবে ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত?

উ: একটা সেন্স অব স্টাইল থাকাটা যেমন জরুরি, তেমনই ইভলভও করতে হবে। যেটা আপনি কুড়ি বছর আগে করেছেন বা পরেছেন, তার এসেন্স এক থাকতে পারে, কিন্তু স্টাইল যেন সময়ের সঙ্গে বদলায়। ফ্যাশন যদি না বদলায়, তা এক জায়গায় এসে আটকে যাবে।

প্র: এ বারের ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের গ্র্যান্ড ফিনালে ডিজাইনার তো আপনি। কোন রঙের প্রাধান্য থাকবে এ বছর?

উ: নুড কালার্স। নুডেরই এখন এত বৈচিত্র, তাতে আপনার পুরো লুক বদলে যেতে পারে।

প্র: সোনম কপূর ও করিনা কপূরের মতো সেলেবদের অন্যতম পছন্দের ডিজাইনার আপনি!

উ: এ ধরনের প্রাপ্তি চ্যালেঞ্জ নিতে উদ্বুদ্ধ করে। সেই সঙ্গে একটা ধাক্কাও দেয়। এগিয়ে দেয় পরের লেভেলের দিকে। এবং আপনিও বুঝে যান, এ বার এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। তৈরি করতে পারেন সেলেবদের মাধ্যমে নিজের স্টেটমেন্ট। করিনা সম্পর্কে বলব, ওঁর অ্যাটিটিউড এবং বোন স্ট্রাকচার। যেন কেউ একটা করাত দিয়ে চেঁছে দিয়েছে, ও রকম আর কাউকে দেখিনি। হার স্কিন, হার বডি... শি ইজ জাস্ট পারফেক্ট! আর সোনম হল কমপ্লিট ফ্যাশনিস্তা। ওঁর মতো স্টাইল সেন্স কারও নেই।

Anamika Khanna অনামিকা খন্না
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy