বিনা রাজনীতি, বিনা বক্তৃতা--- চৈতন্যদেব তাঁর আমলে বিভেদ মুছেছিলেন। কী ভাবে?
সদ্য মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বড়দিনের ছবি 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে'-র প্রথম গান 'দেখো দেখো কানাইয়ে'। তার পরেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি ছবির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার এবং গায়ক। ছবিতে দুই যুগকে কী ভাবে মেলানো হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে অন্যতম প্রযোজক রানা সরকার তাঁর বক্তব্য জানালেন আনন্দবাজার ডট কম-কে।
ছবির প্রচারে দিব্যজ্যোতি দত্ত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অলোকানন্দা গুহ, পদ্মপলাশ, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
রানার কথায়, "দুই যুগের দুই সমস্যা। চৈতন্যদেবের আমলে জাতিভেদ, ধর্মভেদ, অস্পৃশ্যতা ছিল প্রবল। এ যুগে সেটা হয়তো নেই। কিন্তু মানুষে মানুষে বিভেদ আজও বর্তমান।" চৈতন্যদেব রাজনীতি, দীর্ঘ বক্তৃতা এড়িয়ে, কেবল সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের মনে সৌভ্রাতৃত্ব ছড়িয়েছিলেন। তিনি 'হরির লুঠ' চালু করেছিলেন সর্বধর্মসমন্বয়, জাতিধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে। এ যুগের বিভেদ, ভয় দূর করতে সেই দিকটাই দেখাবে এই ছবি।
আরও পড়ুন:
প্রযোজকের মতে, যুগপুরুষ এ যুগেও সমসাময়িক। তাই তাঁর জীবন, তাঁর ভাবনা, তাঁর মত এবং পথ এ যুগে ছড়িয়ে পড়া উচিত। তবে ছবিতে চৈতন্যদেবের গোটা জীবন ছুঁয়ে দেখা হলেও তাঁর অন্তর্ধানরহস্যই বেশি প্রাধান্য পাবে।