Advertisement
E-Paper

সুবর্ণরেখা

কাঞ্জিভরম। সিঁথিতে সিঁদুর। গাইছেন অমিতাভের ছবির গান। এ কি নতুন রেখা? না কি পুরনোই? লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।‘ইয়ে কঁহা আ গয়ে হম...’ ‘সিলসিলা’র সেই গান। যশ চোপড়ার ছবিতে যে গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মাঝখানে পাংচুয়েশনের মতো ভেসে এসেছিল অমিতাভ বচ্চনের গলা। দশ বছর আগের কথা। টেলিভিশন শো ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’য়ের একশোতম এপিসোড। এপিসোড শেষে সিমির অনুরোধে খালি গলায় ওই গান। লতা নয়। গেয়েছিলেন রেখা।

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০

‘ইয়ে কঁহা আ গয়ে হম...’

‘সিলসিলা’র সেই গান।

যশ চোপড়ার ছবিতে যে গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মাঝখানে পাংচুয়েশনের মতো ভেসে এসেছিল অমিতাভ বচ্চনের গলা। দশ বছর আগের কথা। টেলিভিশন শো ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’য়ের একশোতম এপিসোড। এপিসোড শেষে সিমির অনুরোধে খালি গলায় ওই গান। লতা নয়। গেয়েছিলেন রেখা।

২০০৪-য়ের জুলাই মাসের কথা। সে দিন রেখার পরনে সোনালি আর ঘিয়ে রঙের ব্রোকেডের শাড়ি। সঙ্গে কুন্দন আর সোনার গয়না। একঢাল খোলা চুল।

তার পর দশটা বছর কেটে গিয়েছে। ছোট পর্দায় কত রকমের টক শো হয়েছে। সমকালীন বা সিনিয়র সেলিব্রিটিদের দেখা গিয়েছে নানা রকমের রিয়েলিটি শো-তে। কেউ হয়েছেন বিচারক, কেউ বা অতিথি। অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে কর্ণ জোহরটেলিভিশন দুুনিয়ায় এঁরা হয়ে উঠলেন পরিচিত মুখ। দেখে মনে হয় ছোট পর্দায় বড় পর্দার তারকারা যেন আমজনতার নাগালের মধ্যে।

কিন্তু রেখা?

না। টেলিভিশনের পর্দায় তিনি অধরাই। তাতে যে কারও খুব আপত্তি ছিল এমনটাও নয়। রেখা মানে ডিভা। রহস্যের অন্য এক নাম তিনি। নাই বা ধরা দিলেন রিমোট কন্ট্রোলের সুইচে।

কিন্তু সেই রেখা ধরা দিলেন। ২০১৪-তে এসে। কসবা থেকে কন্যাকুমারীর প্রায় প্রতিটি ড্রইংরুমে হঠাত্‌ করে ঢুকে পড়লেন তিনি। এক সন্ধেতে কালার্সের দু-দুটো পর পর শোতে। সলমন খানের সঙ্গে ‘বিগ বস’। তার পর ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’। কখনও সলমনের সঙ্গে নাচছেন। কখনও বা কপিল শর্মার শো-তে শরত্‌কালে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছেন ‘রংবরষে....হোলি হ্যায়’। আর তা শুনে সামনে বসা নভজ্যোত সিংহ সিধুর কান এঁটো করা হাসি।

কপিল তো রেখাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন টেলিভিশনে তাঁকে একদম দেখা যায় না? তাতে রেখার সাফ উত্তর, ‘কোই দিখানে কা চিজ হ্যায় তো ম্যায় দিখাউ....’ হয়তো রেখা বলেই অমন কথা বলতে পেরেছিলেন। তা হলে কী এমন দেখানোর ‘চিজ’ ছিল যার জন্য রেখা নিজেকে এ ভাবে মেলে ধরলেন দর্শকের কাছে?

কারণটা ছবির প্রোমোশন।

প্রোমোশন ব্যাপারটা না কি আজকাল এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে অনেকে ঠাট্টা করে বলেন যে সুচিত্রা সেনও যদি শেষ বয়সে ছবি করতেন, তাঁকেও হয়তো অনুরোধ করা হত প্রচারে যেতে। চ্যানেলে গিয়ে বাইট দিতে! আর টেলিভিশন প্রোমোশন? এখন আর তারকারা বলেন না ‘দোহাই তোমাদের প্রোমোশনে যেতে বোলো না।’

শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে রেখা অভিনীত ‘সুপার নানি’। যেখানে তিনি মুখ্য চরিত্রে। ‘সুপার নানি’র ক্ষেত্রে রেখা নাকি খুব আগ্রহী ছিলেন এই দুটো শো-তে গিয়ে ছবিটি প্রমোট করতে। বেশ কয়েকটা শোয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রেখে তাঁকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল কোথায় তিনি যেতে চান। রেখা নিজেই বেছে নিয়েছিলেন এই দুটো শো। ব্যক্তিগত জীবনে নিভৃতে থাকলেও, টেলিভিশনে কোন শো কতটা জনপ্রিয় সে বিষয়ে তিনি ভালই খোঁজ রাখেন।

‘সুপার নানি’র প্রযোজক অশোক ঠাকারিয়া তো রেখার টেলিভিশনে আসা নিয়ে দারুণ খুশি। গুজরাতি এক নাটকের রিমেক রাইট কিনে এই ছবিটা বানিয়েছেন তিনি। এক সাধারণ গৃহকর্মনিপুণা স্ত্রীর গল্প যে নিজেকে পরিবর্তন করে। খানিকটা ‘খুন ভরি মাঙ্গ’য়ের প্লট। প্রথমবার ছবির গল্প শুনেই রেখা রাজি। “প্রোমোশনের সময় আমাকে বলেছিল ছবির জন্য আমাকে যা করতে হবে আমি তা করব। তার মধ্যেও এটা বলব যে ও কিন্তু মাত্র দুটো শো-তে গিয়েছে। সে অর্থে রেখা আজও সিলেকটিভ। সেই শোগুলোতেই গিয়েছে যেখানে ওর ইমেজটা মানাবে,” বলছেন অশোক।

কিন্তু সত্যিই কি তিনি সেটা করতে সক্ষম হয়েছেন? দর্শকের মত এ নিয়ে এখনও বিভক্ত। রেখা মানে কম কথা। রেখা মানে ‘আদা’। রেখা মানে এক্সক্লুসিভিটি। কিন্তু কপিল শর্মার শোয়ের ফর্ম্যাট আলাদা। সেখানে সব কিছুই চড়া সুরে বাঁধা। এটাই শো-য়ের জনপ্রিয়তার কারণও। সেখানে আছে সিধুর জোক থেকে মঞ্জু শর্মার মাথায় পালক গুঁজে উমরাও জান সেজে আসা। রেখা যে এ কথা জানতেন না এমন নয়। তা জেনেই কি তিনি নিজেকে বেশ একটা অন্য ধাঁচে পরিবেশন করলেন?

দশ বছর আগে রেখা সিমি গারেওয়ালের শো-তে খালি গলায় গেয়েছিলেন ‘তেরি বাহোঁ মে হ্যায় জানম মেরে জিস্ম ও জান পিঘলতে...।” গাইতে গাইতে মাঝে মধ্যে চোখ বুজে আসে তাঁর। নিপুণ ভাবে এড়িয়ে যান অমিতাভ বচ্চনের জলদগম্ভীর গলায় বলা, ‘ইয়ে সোচতা হুঁ ম্যায় কবসে গুমসুম/ কি জবকি মুঝকো ভি ইয়ে খবর হ্যায়/ কি তুম নহি হো, কহি নহি হো/মগর ইয়ে দিল হ্যায় কি কহে রহা হ্যায়/তুম ইয়েহিঁ হো, ইয়েহিঁ কহিঁ হো।” ইচ্ছে করলে তিনি নিজেই লাইনগুলো বলতে পারতেন।

কিন্তু বলেননি। বরং গানের মাঝে এই লাইনগুলো একদম ছেঁটে ফেলে সোজা চলে গিয়েছিলেন ‘তু বদন হ্যায় ম্যায় হুঁ সায়া...’ তাঁর গানের মাঝে টেলিভিশন পর্দায় ভেসে আসে ‘সিলসিলা’ ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। সৃষ্টি হয় রোমাঞ্চ।

তারও ঠিক কুড়ি বছর আগের কথা। ১৯৮৪। প্রথমবার টিভির কোনও টক শোয়ে গিয়েছিলেন রেখা। সেটাও সিমি গারেওয়ালের হোস্ট করা শো। নাম ‘ইট’স এ ওম্যানস ওয়ার্ল্ড’। তখন বয়স কম। কাঞ্জিভরম শাড়ি নেই। নেই গয়নার আড়ম্বর। পরনে লাল শার্ট। চুল খোলা। সেখানে রেখা ছিলেন চুলবুলি। মেয়েদের স্বাধীনতা থেকে ফিটনেস, প্রেম থেকে বিয়ে সব নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।

সে শোগুলো হোস্ট করার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিমি জানান, “রেখা আর আমার বহু দিনের বন্ধুত্ব। মোটামুটি এক সময় আমাদের কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। কত বার স্টুডিয়ো পাড়ায় দেখা হত। দু’জনে একসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে বড় হয়েছি। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে করতেই কাছে এসেছি। এখনও ফোনে অনেকক্ষণ আড্ডা দিই। রেখা ফোন করলে আমার বোন সঙ্গে সঙ্গে বলে ‘এ বার তো চার ঘণ্টা আড্ডা দেবে তুমি’। ও ঠিক বলে। আমরা সেটাই করি।”

তবে বন্ধুত্ব এক জায়গায় আর ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’ শো-তে অংশগ্রহণ করা আলাদা বিষয়। “ওর প্রোগ্রামগুলো ভাল লাগত। প্রত্যেকটা এপিসোড থেকে কে কী বলেছে তা-ও বলে দিতে পারত। কিন্তু যখনই বলতাম চলো একটা এপিসোড তোমাকে নিয়ে করি, আমাকে বলত, ‘আমার সেল্ফ কনফিডেন্স নেই।’ শেষমেশ একশোতম এপিসোডে রাজি হল। ওই এপিসোডটা স্পেশাল ছিল কারণ আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওকে টিজ করতে পারছিলাম। এমপ্যাথাইজ করতে পারছিলাম। আবার ও যা বলছিল বুঝতেও পারছিলাম,” বলেন সিমি।

রেখা হয়তো জানতেন যে বাবা জেমিনি গণেশনের সঙ্গে কোনও দিন কথা না বলেও যে চোখের ভাষায় কথা বলা যায়, এটা সিমি বুঝবেন। বুঝবেন যে ১৩ বছর বয়সে বাধ্য হয়ে সিনেমা করতে আসা রেখা আত্মহত্যা নয়, শুধুমাত্র উড়তে চাওয়ার জন্যই ছোটবেলায় বারবার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করতেন। বা কেন তিনি বলছেন যে ‘স্বামী’ শব্দটা তার কাছে ঠিক ‘বাবা’ শব্দটার মতোই অপরিচিত, এলিয়েন। বা দিদিভাইয়ের (জয়া বচ্চন) প্রশংসা করে বলবেন যে গুজবে তাঁদের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। হবেও না।

১৯৮৪, ২০০৪, ২০১৪। গোটা কেরিয়ারে হাতে গুনে তিনটে বছর তিনি টেলিভিশন শো-য়ের জন্য শ্যুট করেছেন।

১৯৮৪ তে প্রেম-বিয়ে নিয়ে কথা বললেও অমিতাভ প্রসঙ্গ একেবারেই ওঠেনি।

কিন্তু ২০১৪র রেখা? অনেকটাই অন্য রকম সেখানে। সিমি-কে ২০১৪-র রেখার টেলিভিশনে আসা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেই ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিদেশে ঘুরছি। মঙ্গলবার দেশে ফিরেছি। তাই রেখার টেলিভিশন অ্যাপিয়ারেন্সগুলো মিস করেছি। লন্ডনে থাকাকালীন কয়েক মিনিটের জন্য কপিলের শো-টা দেখেছিলাম। ওইটুকুই।”

যাঁরা দুটো অনুষ্ঠান দেখেছেন তাঁরা অবশ্য বলছেন যে রেখার কাঁধে যেহেতু ছবি প্রোমোশনের ভার, তাই তাঁকে অনেকটাই পাল্টাতে হয়েছে। পর্দানশিন রেখা পপুলিস্ট হয়েছেন। তার সেই ‘ঠ্যয়রাও’ ব্যাপারটা ঠিক যায় না ‘বিগ বস’ বা কপিল শর্মার শো-তে। শোয়ের ফরম্যাট পাল্টানো যায় না। তাই রেখা খানিকটা পাল্টে গেলেন। সিমির শো-তে এসে মুকেশ অগ্রবালের সঙ্গে তাঁর ‘অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ’ নিয়ে কথা বলেছিলেন। বিনোদ মেহরার সঙ্গে যে তিনি কোনও দিন বিবাহিত ছিলেন না, সেটাও ঘোষণা করেছিলেন। ব্রোকেড পরলেও সিঁদুর ছিল না সে অনুষ্ঠানে।

মুকেশের মৃত্যুর পর রেখা আর বিয়ে করেননি। তবে ২০১৪-র টেলিভিশনের পর্দায় রেখার সিঁথি ভর্তি সিঁদুর। কেউ চমকে যাচ্ছেন। কেউ বলছেন এ তো রেখা-সুলভ ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। এ নাগাদ অ্যাওয়ার্ড শো বা পার্টিতে গেলে তিনি ওই সাজেই যান।

‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’য়ের পরিচালক হুজেফা ক্যাইজর বলছেন, “সিধুজি শোতে রেখাজিকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি তাঁর সময়কার অভিনেত্রীদের নকল করে দেখান। রেখাজি যে এটা ভাল করেন সেটা সিধুজিকে এক ফ্লাইটে শত্রুঘ্ন সিংহ বলেছিলেন। কিন্তু রেখাজি রাজি হননি। বলেছিলেন এতে কমফর্টেবল নন।”

তবে যেটাতে আপত্তি জানাননি তা হল নিজের গলায় ‘সিলসিলা’র অমিতাভর গাওয়া গান গাইতে। হারমোনিয়ামের বেলো করতে করতে গাইলেন ‘বেলা চামেলি কা...’। দর্শকের মধ্যে থেকে একটা বাচ্চা মেয়ে গাইল ‘নীলা আসমা শো গয়া...’। কোলে তুলে নিলেন মেয়েটিকে। বলাই বাহুল্য যে এটাও অমিতাভের গাওয়া। মাঝখানে মেয়েটির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইলেন।

আর ‘বিগ বস’য়ের রেখা? সলমন খানের বাল্যকালের মোহ তিনি। পুরনো দিনের কত গপ্পো! সেই শো-তে ‘দবাং’য়ের সংলাপ বললেন। “থপ্পড় সে ডর নহি লাগতা, পেয়ার সে ভি নহি লাগতা। ও তো ম্যয় বহুত দে সকতি হুঁ। ডর লাগতা হ্যায় তো বাস বিগ বি সে।” হ্যাঁ, ‘বিগ বি’ শব্দটা নিজেই তুলে আনলেন। তার পর যদিও কথাটা ঘুরিয়ে দিলেন ‘বিগ বস’য়ের দিকে।

নাচ-গান আছে। ‘বিগ বস’ প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতা আছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ‘কুলি’ ছবির সেই পুনীত ইশার, যাঁর আঘাতেই গুরুতর জখম হন অমিতাভ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনও আলাপচারিতায় গেলেন না রেখা। আর তামাম দর্শক এই নিয়েই চর্চা শুরু করে দিলেন অমিতাভ না বললেও, রেখা নিজেও কি আজও পুনীতের ওপর অভিমানী? সেই দুর্ঘটনার জন্য পুনীতকে হয়তো এখনও ক্ষমা করেননি রেখা।

কিন্তু সে উত্তর দেওয়ার কেউ নেই।

‘বিগ বস’য়ের অনেক প্রতিযোগীর প্রচারের দায়িত্বে থাকেন ডেল ভাগওয়াগার। তাঁর মতে, “সিনেমা পাবলিসিটির সময় সব তারকাকেই ছবি প্রোমোট করতে হয়। রেখাও তাই করেছেন। রেখার উপস্থিতিটার উদ্দেশ্য সেটাই ছিল। ‘বিগ বস’য়ে এসেও উনি সেটাই করেছেন।” কিন্তু হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘কোই মিল গয়া’ করার সময় তো টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে দেখা যায়নি। “ওখানে তো ওর মুখ্য চরিত্র ছিল না। এখানে ফোকাসটাই রেখা,” বলছেন অশোক।

এই ‘সো-আনলাইক’ রেখা গোছের কিছু করে তিনি নিজের ব্র্যান্ডটার সঙ্গে কি আপস করছেন? “না, তা নয়। বরং নিজের মতো করে সেটাই এসটাব্লিশ করেছেন। সিমির শো-তে রেখাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অমিতাভকে ভালবাসা নিয়ে। কিন্তু এ বার তো সে রকম কোনও প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। দেখলাম রেখা নিজেই আকার ইঙ্গিতে অমিতাভ প্রসঙ্গ তুললেন। মনে হল কোথাও যেন আজও উনি পুরনো দিনেই নিজেকে আটকে রেখেছেন। শি হ্যাজন্ট মুভড্ অন। এটা অবশ্য আবার ডিভা-সুলভ ব্যবহার নয়,” বলছেন ডেল।

তবে এত যে অমিতাভ প্রসঙ্গ উঠে আসছে, কই, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে তো তিনি যাননি! সব তারকাই তো ওখানে লাইন দিয়ে চলে যান। অন্যান্য যে ৮-টা সিরিয়াল-শো প্রসঙ্গ উঠেছিল, তাতে ‘কেবিসি’র নাম ছিল কি না কেউ বলতে নারাজ। তবে এই না যাওয়ার মধ্যেও বোধহয় একটা রেখা-সুলভ ব্যাপার আছে।

ওই যে ভাবে সিমিকে বলেছিলেন কাউকে পছন্দ করলে তার সঙ্গে সব সময় দেখা করতে হবে, এমনটা নয়। কেউ হয়তো বলতেই পারেন যে টিআরপির দৌড়ে ‘বিগ বস’ আর কপিলের শো এগিয়ে বলেই ‘কেবিসি’ মুখো হননি। তবে রেখাকে যাঁরা জানেন, তাঁরা হয়তো বলবেন এই না যাওয়ার মধ্যেও তিনি অন্য একটা রেখা টেনে দিলেন। আবারও ঘোষণা করলেন এ ভাবেই ‘রেখা’ হওয়া যায়। অন্য শো-তে এসে তাঁর প্রসঙ্গ তুললেন। তাঁর গাওয়া গান গাইলেন। কিন্তু আসল শো-তে গেলেন না।

রহস্য থেকেই গেল।

ধরা দিতে গিয়েও দিলেন না তিনি। ‘কেবিসি’তে তাই কেউ ভানুরেখাকে দেখতে পেল না। কেউ হটসিটে তাঁকে দেখে বলতে পারল না ‘ইয়ে কঁহা আ গয়ে আপ...!’

ananda plus rekha priyanka dasgupta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy