সুদিনের-আশায়: কবে ফের দেখা মিলবে লক্ষ্মীর, প্রার্থনা ব্যবসায়ীর। বনগাঁয় তোলা নিজস্ব চিত্র
বেচাকেনার জন্য খোলা হয়েছিল দোকান। কিন্তু খদ্দেরের অভাবে বেলা বাড়তেই তা বন্ধ হয়ে যায়। অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো তো দূরের কথা। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই মুখ শুকনো করে বসে থাকলেন এ দিন। তাঁদের চোখেমুখে হতাশা।
এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘আজকের শুভ দিনে পুজো করতে পারলাম না। নিয়ম রক্ষা করতে দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু সময় মতো বন্ধও করে দিয়েছি। সারা বছর এ ভাবে হতাশার মধ্যেই কাটাতে হবে, বোধ হয়!’’
ব্যবসায়ীরা জানান, এই দিনটিতে বেশ কিছু খদ্দের বছরের টাকা শোধ করেন। তাঁদের কাছ থেকে এ বার টাকার আশাও করছেন না ব্যবসায়ীরা।
বনগাঁ এবং ব্যারাকপুর এলাকায় পুজোর জন্য কিছু দোকান খোলা হলেও, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। সকলেই জানান, ব্যবসায় অভূতপূর্ব ক্ষতির মুখোমুখি তাঁরা। কী করে সে ক্ষতি সামাল দেবেন, তা তাঁদের জানা নেই। ব্যবসা ফের আগের অবস্থায় ফিরবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
অক্ষয় তৃতীয়ায় ক্যানিং-সহ আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা বিশেষ পুজো করেন। কেউ কেউ এ দিন হালখাতা করেন। কিন্তু এ বার লকডাউনের জেরে হালখাতা তো দূর অনেকেই নিজেদের প্রতিষ্ঠানে পুজোই করতে পারনেনি। ক্যানিংয়ের ব্যবসায়ী ভোলা সাহা, শম্ভু দাসরা বলেন, “এ বার পয়লা বৈশাখেও কোনও পুজো করতে পারিনি দোকানে, অক্ষয় তৃতীয়াও একই ভাবে গেল। এই দিনে হালখাতা করে নতুন করে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু তা-ও হল না।’’ সকলেই অবশ্য তাকিয়ে আছেন দ্রুত পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক হয় সে দিকেই।
লকডাউনের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ দুই মহকুমায় এলাকায় দোকানগুলি কোনও রকমে অক্ষয় তৃতীয়া পালন করল। সকালবেলা কাপড়ের দোকান, সোনার দোকান খুলে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো দিলেন নিজেরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy