Advertisement
E-Paper

লকডাউন, বৃষ্টিতে মলিন অক্ষয় তৃতীয়া

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘দোকান খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ পাইনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৬
বন্ধ দোকানে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ দোকানে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের মাঝেই শর্ত সাপেক্ষে দোকান খোলা যাবে, শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তার উপরে রবিবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। তাই সকালেই অনেক দোকান খুলে সাফসুতরো করে পুজো করা শুরু হয়। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ীরই দাবি, পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে দিতে বলেছেন। তখন অনেকেই দোকানে কেনাবেচা বন্ধ করে দেন, তবে ভিতরে কেউ কেউ পুজো করেছেন। তবে আচমকা জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় বহরমপুর সহ মুর্শিদাবাদের নানা এলাকায়। তাতেও ব্যাহত হয় অক্ষত তৃতীয়ার আয়োজন।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘দোকান খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ পাইনি। কোথাও গিয়ে পুলিশ কোনও দোকান বন্ধ করেছে, এমন খবরও আমি জানি না।’’ জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘দোকান খোলার ব্যাপারে একনও কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই কোথাও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’

লক ডাউনের মাঝে এতদিন ওষুধ, মুদির দোকান, আনাজের দোকান খোলা ছিল। শনিবার সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রের নির্দেশিকা দেখেই এদিন হরিহরপাড়া বাজার এলাকায় দোকান খোলার জন্য এসেছিলেন দোকানদারেরা। মাসাধিক সময় দোকান বন্ধ থাকার পরে এ দিন সকাল সকাল দোকান সাফ-সুতরো করার পর সবে ধূপ ধুনো দিতে শুরু করেছেন, এমন সময় পুলিশ এসে বলে দোকান বন্ধ রাখতে হবে। দোকান খুলতে দেওয়া হবে এমন নির্দেশিকা নাকি তাদের কাছে আসেনি। এরপরই ধন্দে পড়েন দোকানদারেরা।

বহরমপুর, কান্দি, ডোমকল, রঘুনাথগঞ্জেও বড় দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে কিছু ছোট দোকান খোলা থাকলেও পুলিশ দেখেই তারা দোকান বন্ধ করে দেন। হরিহরপাড়া বাজার এলাকা বস্ত্র ব্যবসায়ী হাপিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবরে দেখেই এ দিন দোকান খুলতে আসি। দোকান খুলতেই পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বলে। আমরাও ভয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’’ হরিহরপাড়া, নওদার মতো মফস্সলের বাজার এলাকাগুলিতে শপিং মল বা সেই অর্থে বড় কোনও দোকান নেই। কাপড়ের দোকান, স্টেশনারি দোকান, বইখাতা, হার্ডওয়্যারে মত দোকান রয়েছে। তার মধ্যে স্টেশনারি দোকান খোলার কথা। কিন্তু পুলিশের নির্দেশ মতো তাঁরাও কেউ আর সাহস করে দোকান খুলতে পারেননি। স্বজন দাস নামে হরিহরপাড়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘এক মাস পর আজ দোকান খুলেছিলাম। তার উপরে আজই অক্ষয় তৃতীয়া। কিন্তু পুলিশ বারণ করায় সঙ্গে সঙ্গেই দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’’

হরিহরপাড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা কী করব! আমাদের কাছে লকডাউন জারি রাখার নির্দেশ রয়েছে। দোকান খুলতে দেওয়ার নির্দেশিকা পাইনি।’’ হরিহরপাড়া বাজার কল্যাণ সমিতির সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘হরিহরপাড়া বাজারের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এক মাসের বেশি দোকানপাট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা সঙ্কটে পড়েছেন। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই দোকানপাট খুলব ভেবেছিলাম। কিন্তু তা আর হল না।’’ রাজ্য সরকাকে এ বিষয়ে ইতিবাচক ভুমিকা নিতে আর্জি জানান তিনি।

Akshaya Tritiya 2020
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy