শীতকালে বড়রা যেমন সর্দিকাশির সমস্যায় ভোগেন, তার থেকে অনেক বেশি সমস্যা হয় শিশুদের। বিশেষ করে যে সব শিশু স্কুলে যাচ্ছে, তাদের সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। কখনও ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য, কখনও বা ঠান্ডা লেগে নানা ধরনের রোগে ভুগতে থাকে তারা। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে কম। তার উপর অতিরিক্ত ছোটাছুটি করে ঘামও জমে। নানা কারণে হওয়া ওই ধরনের রোগ দূরে রাখতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সকালে খালি পেটে কিছু বিশেষ পানীয় যদি তারা পান করতে পারে তবে ওই ধরনের সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন। এর জন্য তিনটি প্রাকৃতিক সমাধান দিয়েছেন তিনি।
১. তুলসী ও গোলমরিচের ক্বাথ
তুলসী পাতা ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং সর্দি-জ্বর সারাতে অতুলনীয়। ৫-৬টি তুলসী পাতা এবং ৩-৪টি গোটা গোলমরিচ একসাথে এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হয়ে এলে ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
২. মেথি ভেজানো জল
মেথিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীর ডিটক্স করতে এবং ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আগের রাতে এক চামচ মেথি এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জলটি ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম করে পান করুন। এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং শ্লেষ্মা বা মিউকাস তৈরি হতে বাধা দেয়।
৩. দারচিনি ও লবঙ্গের চা
দারচিনি এবং লবঙ্গ উভয়েরই অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে যা শীতকালীন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এক টুকরো দারচিনি এবং ২-৩টি লবঙ্গ জলে ফুটিয়ে নিন। স্বাদের জন্য সামান্য গুড় বা মধু মেশাতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং বুকে জমে থাকা পুরনো সর্দি বার করে দিতে সাহায্য করে।