Advertisement
E-Paper

অজান্তে মনের মধ্যে বাসা বাঁধতে পারে অবসাদ! ৫টি অজানা লক্ষণে সতর্ক হওয়া উচিত

কেউ অবসাদে আক্রান্ত হলে অনেক সময়েই তা বুঝতে পারেন না। ফলে সমস্যা অজান্তেই বাড়তে থাকে। ৫টি অজানা লক্ষণে অবসাদকে শনাক্ত করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১০:২৩
5 hidden symptoms of depression you need to know

প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অবসাদে আক্রান্ত হলে, অনেক সময়েই ব্যক্তি তা বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ আবার বিশ্বাস করেন, তাঁর মন কখনও অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে না। কিন্তু সত্যিটা এই যে, মানুষ যে কোনও সময়ে আবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু সঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা করানো না হয়, তা হলে অবসাদ ব্যক্তির একাধিক ক্ষতি করতে পারে। কয়েকটি সহজ লক্ষণ থেকে অবসাদের আগাম ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে।

১) ব্যথা: অবসাদের সঙ্গে শারীরিক ব্যথা বা বেদনার যোগসূত্র রয়েছে। ২০২৪ সালে ‘পেন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত হলে তখন তিনি আরও গভীর ভাবে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। ওই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ আবসাদে আক্রান্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা তীব্র ব্যথা-বেদনা অনুভব করেছেন। কিন্তু যাঁদের অবসাদ ছিল না, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ তীব্র ব্যথা অনুভব করেন।

২) ওজন বৃদ্ধি: দেহের ওজনের সঙ্গে কোনও কোনও ক্ষেত্রে অবসাদের যোগসূত্র থাকতে পারে। ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত হলে তাঁর শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার একই ভাবে ওজন বৃদ্ধি পেলেও কেউ কেউ অবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই দেহের ওজনকে সব সময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

৩) ক্রোধ: মনের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা, উৎকণ্ঠা বাড়লে অনেক সময়ে তার বহিঃপ্রকাশ রাগের মাধ্যমে হতে পারে। তাই কেউ যদি হঠাৎ করে ঘন ঘন রেগে যান, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। মন ভাল আছে কি না, নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত। আবার অনেক সময়ে ঘন ঘন মুড সুইং হলেও বুঝতে হবে, ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত হয়েছেন।

৪) মদ্যপান: মদ্যপান অনেকে অভ্যাসবশত করেন। কারণ, দৈনিক ক্লান্তি এবং উদ্বেগ থেকে স্নায়ুকে শিথিল করে সুরা। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান অবসাদে গড়াতে পারে। ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত হলে সাধারণত তিনি বেশি মদ্যপান করে থাকেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সতর্ক হওয়া উচিত।

৫) সমাজমাধ্যম: ২০২৩ সালে ‘সায়েন্স ডিরেক্ট’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, যাঁরা অবসাদে আক্রান্ত, তাঁরা বেশি করে ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার মধ্যে অন্যতম সমাজমাধ্যম। তাই অত্যধিক সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা অবসাদের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে সমাজমাধ্যমে অন্যের সাফল্য বা জীবনযাত্রা মনের মধ্যে হতাশা তৈরি করতে পারে, যা পরোক্ষে অবসাদের দিকে গড়িয়ে যায়।

Mental Health Depression Mental Depression Health Tips Mental Health Awareness
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy