Advertisement
E-Paper

রান্নায় তেলের বদলে ঘি ব্যবহার করবেন ভেবেছেন! কিন্তু ঘি নিয়ে ৫টি জরুরি তথ্য জানা আছে কি?

ঘিয়ের বিজ্ঞানসম্মত উপকারিতার কথা ইদানীংকালে অজানা থাকার কথা নয়। সমাজমাধ্যমে পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকেরা প্রায়ই সেই সব উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু ঘি সম্পর্কে এ সমস্ত জানা তথ্যের বাইরে কিছু কম জানা তথ্যও রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৪

ছবি : সংগৃহীত।

ঘি ভাল। ঘি ‘সুপারফুড’। ঘি প্রাচীন কাল থেকে খাওয়া হয়ে আসছে। ৪০০০ বছরেরও বেশি পুরনো তার ইতিহাস। যে মাখন এখন খাওয়া হয় বা যে ভোজ্য তেল ব্যবহার করা হয় রান্নায়, তা এসেছে অনেক পরে। ঘি অনেক আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে রান্নায়। তাই ঘিয়ের উপর ভরসাও অনেক বেশি। ঘি সম্পর্কে এ সব তথ্য অল্প বিস্তর সবারই জানা।

ঘিয়ের বিজ্ঞানসম্মত উপকারিতার কথাও ইদানীংকালে অজানা থাকার কথা নয়। সমাজমাধ্যমে পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকেরা প্রায়ই সেই সব উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তা ছাড়া ঘি যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তা জানিয়েছে বহু গবেষণাও। কিছু গবেষণায় হার্টের রোগ, ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও ঘি উপযুক্ত বলে জানানো হয়েছে। কারণ ঘি হল সেই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা সুস্থ থাকার জন্য শরীরের প্রয়োজন।

কিন্তু ঘি সম্পর্কে এ সমস্ত জানা তথ্যের বাইরে কিছু কম জানা তথ্যও রয়েছে। যে সমস্ত স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রান্নায় তেলের বদলে ঘি ব্যবহার করার কথা ভাবছেন বা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কাজে পরিণত করেছেন, তাঁদের ওই বিষয়গুলি জেনে রাখা ভাল।

১। যাঁদের দুধ সহ্য হয় না বা দুগ্ধজাত খাবার খেলেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাঁদের অনেকেই ঘি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। কারণ ঘি তৈরির সময় মালাই বা সর থেকে দুধ এবং দুধের জলীয় অংশ পুরোপুরি বেরিয়ে যায়। তাই তাতে নামমাত্র ল্যাকটোজ় এবং সেসিন থাকে। তাই যাঁদের দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না তাঁদের মাখন খেতে অসুবিধা হলেও ঘি খেতে অসুবিধা হয় না।

২। ঘিয়ে শুধু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর প্রোটিন নয়, নানা ধরনের জরুরি ভিটামিনও থাকে। যেমন ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। এই সমস্ত ভিটামিন ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি চোখ ভাল রাখে। শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৩। ঘিয়ে সহজপাচ্য। বিষয়টা শুনতে অবাক লাগতেই পারে। কারণ ঘিয়ে ভাজা মিষ্টি, ঘি চপচপে হালুয়াকে গুরুপাক বলেই ভাবা হয় সাধারণত। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঘিয়ে রয়েছে মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড যা শরীর সহজেই গ্রহণ করতে পারে এবং তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। অন্যান্য ফ্যাট বা চর্বির মতো একে হজমের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না।

৪। ঘিতে খাবার সহজে পোড়ে না। তেল বা মাখন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে অনেক সময়েই তাতে খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার পুড়ে যায়। একটু বেশি গরম হলেই তা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ঘিয়ে ধূমাঙ্ক তুলনায় অনেক বেশি। এটি ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ৪৮২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গেলে তবেই পুড়বে। তাই এটি স্বাস্থ্যকরও।

৫। ঘি খেলে মাথা খুলতে পারে। কারণ, ঘিকে বলা হয় ব্রেন ফুড। অর্থাৎ এমন খাবার যা মস্তিষ্কের নিউরনের যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যা মস্তিষ্ককে অনেক বেশি সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে।

Ghee Benefits Ghee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy