Advertisement
E-Paper

নিমপাতা খাওয়ার অনেক উপকার, তা ছাড়া নিম পাতা আর কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন?

নিমপাতা ব্যবহার করে নানা ভাবে উপকৃত হয়েছে মানুষ। উপকারের নানা প্রমাণও পেয়েছে। খাওয়া ছাড়াও নিমপাতা দৈনন্দিন জীবনে নানা ভাবে ব্যবহার করা যায়। সেগুলি কী কী?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:২৮

ছবি : সংগৃহীত।

নিমপাতার যে অনেক গুণ তা জানতে বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না আর। কারণ, নিমপাতা ব্যবহার করে নানা ভাবে উপকৃত হয়েছে মানুষ। উপকারের নানা প্রমাণও পেয়েছে। খাওয়া ছাড়াও নিমপাতা দৈনন্দিন জীবনে নানা ভাবে ব্যবহার করা যায়। সেগুলি কী কী?

ত্বকের যত্নে

নিম পাতা বেটে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ফেস প্যাক তৈরি করা যায়। ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে এটি সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ছত্রাক রোধক গুণ সংক্রমণের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। নিম পাতার পেস্ট সরাসরি ব্রণের উপর বা হলুদ ও বেসনের সাথে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্নে

নিম পাতা দিয়ে জল ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। খুশকি দূর করতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে এমনকি, উকুনের সমস্যা দূর করতেও কার্যকর।

কীটনাশক

নিম পাতার রস বা নির্যাস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। গাছপালাকে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে এমনকি, মশা, মাছি তাড়াতেও নিম পাতার ব্যবহার করা হয়। শুকিয়ে যাওয়া নিম পাতা ঘরের কোণে রেখে দিলে পোকামাকড় দূর হয়। বাগানে নিম পাতার জলও স্প্রে করা যেতে পারে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে

কাটা-ছেঁড়া বা ছোটখাটো ক্ষতস্থানে নিম পাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে। সংক্রমণও হতে দেয় না।

পদ্ধতি: পরিষ্কার নিম পাতা বেটে বা গুঁড়ো করে অল্প জলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সরাসরি ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করা হয়।

দাঁতের ও মাড়ির যত্নে

নিম ডাল দাঁত মাজার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। নিম পাতার গুঁড়ো বা নির্যাস মাজনে বা মউথওয়াশেও ব্যবহার করা হয়। এটি মাড়ির প্রদাহ কমাতে, মুখের তরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে এবং নিঃশ্বাসে সতেজ ভাব আনতে সাহায্য করে।

কাপড় ভাল রাখতে

ব্যবহার না করা কাপড়, জামার মাঝে কাগজে মুড়িয়ে নিমপাতা রেখে দিলে পোকা মাকড় দূরে রাখে। ছত্রাক পড়ে গন্ধ হতে দেয় না।

স্নানের জলে ব্যবহার

ঘাম থেকে হওয়া চর্মরোগের সমস্যা থাকলে নিম পাতা ফোটানো জল দিয়ে স্নান করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। এমনকি, দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।

নিম তেল তৈরি

বাত বা গাঁটের ব্যথা কমাতে এবং বিভিন্ন চর্মরোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে। নিম পাতা বাটা নারকেল তেলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই বাড়িতে সহজে নিম তেল তৈরি করা যায়। ওই তেল তৈরি করে তা ব্যথার জায়গায় মালিশ করা যেতে পারে।

গলার কফ বা ব্যথার উপশম

কিছু ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া প্রতিকারে নিম পাতার রস সামান্য গরম জল বা মধুর সাথে মিশিয়ে কফ বা গলা ব্যথার সময় পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত।

Neem benefits
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy