লবঙ্গ প্রায় সব বাঙালি রান্নাঘরেই সহজলভ্য। তা বিপদের চটজলদি ওষুধ হিসাবে ব্যবহারের অভ্যাসও নতুন নয়। ঠান্ডা লাগলে, সর্দি-কাশি হলে বা গলা ধরলে লবঙ্গ মুখে রেখে স্বস্তি পেয়েছেন অনেকেই। আবার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দ্রুত সমাধান হিসাবে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। তবে লবঙ্গ চিবিয়ে না খেয়ে তা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে আরও অনেক বেশি উপকার।
কী ভাবে বানাবেন লবঙ্গের চা?
এক কাপ জল আঁচে বসিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে তার মধ্যে দিন এক চা চামচ গোটা লবঙ্গ। ১৫ মিনিট পর্যন্ত ফোটান। তার পরে আঁচ বন্ধ করে রেখে দিন আরও ৫ মিনিট। এর পরে জল ছেঁকে নিয়ে ঈষদোষ্ণ অবস্থায় খেতে পারেন। আবার লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
কী কী উপকার?
লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে।
১। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি
লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস শরীরকে দূষণমুক্ত করে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায় এবং একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
২। হজমে সহায়ক
লবঙ্গ চা নিয়মিত খেলে তা হজমে সহায়ক এনজ়াইম নিঃসরণে সাহায্য করে। যা হজমে সহায়ক। পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যাও দূরে রাখে।
৩। দাঁতের ব্যথায়
লবঙ্গে থাকা ইউজেনল মারির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মুখের ব্যাকটেরিয়া নাশ করতেও সাহায্য করে লবঙ্গ চা।
৪। ফুসফুসের স্বাস্থ্য
বুকে দীর্ঘ দিন ধরে জমা সর্দিকে তরল করতে সাহায্য করে। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল এ ক্ষেত্রেও সহায়ক। এ ছাড়া লবঙ্গ চা নিয়মিত খেলে ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও কমে।
৫। ওজন কমায়
লবঙ্গ চা শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
৬। ক্যানসার রোধে
লবঙ্গে থাকা প্রদাহ নাশক উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। এ ছাড়া নাছোড় বাতের ব্যথা সারাতও সাহায্য করে লবঙ্গ।
৭। ডায়াবিটিসে
রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে লবঙ্গ চা। আদার সঙ্গে মিলিয়ে খেলে ডায়াবিটিসকেও দূরে রাখতে পারে।