স্বাস্থ্য সচেতনেরা নিত্যনৈমিত্তিক খাবারে ইদানীং পুষ্টিগুণ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেন অনেক বেশি। সচেতনতা বৃদ্ধির নেপথ্যে একটি বড় কারণ হল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জ্ঞান। যা এখন সমাজমাধ্যমে সক্রিয় থাকলেই নানা সূত্র মারফৎ জানা যায়। সেই সব জ্ঞানের কতটা ঠিক, কতটা ভুল, সেটি আলাদা ভাবে বিচার্য। কিন্তু মানুষ এখন আর চুল পড়লে বা ত্বকে শুষ্ক ভাব এলে ভেঙে পড়েন না। বরং ইন্টারনেটে আগে খুঁজে দেখেন, কোন পুষ্টির অভাবে ওই সমস্যা হতে পারে। তার পরে খোঁজ পড়ে কোন খাবারে সেই পুষ্টির অভাব মেটানো সম্ভব। তাতেও কাজ না হলে তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। কিন্তু এত কিছুর পরেও সব জানা সম্ভব হয় কি? খাবারে ভিটামিনের অভাব নিয়ে যতটা চিন্তিত হন সাধারণ মানুষ, খনিজের অভাব নিয়েও কি ততটা ভাবেন! আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম— এই সব কিছুই শরীরের জন্য জরুরি খনিজ। অথচ দৈনন্দিন খাবারে কিসে সেই সব খনিজ পাওয়া যায় জানা আছে কি!
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরে যেসমস্ত খনিজ জরুরি তার মধ্যে অন্যতম হল পটাশিয়াম। শরীরের সার্বিক ক্রিয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি না, পেশি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, স্নায়ুর কাজ ঠিক হচ্ছে কি না, জলের ভারসম্য বজায় থাকছে কি না— সবই নির্ভর করে পটাশিয়াম নামক ইলকট্রোলাইটের উপর। শুধু কি তা-ই! পটাশিয়ামের উপর নির্ভর করে হাড়ের স্বাস্থ্যও।
আরও পড়ুন:
তাই কম বয়সে শারীরিক বিকাশের সময় পটাশিয়ামের ভারসম্যে খেয়াল রাখা যতটা জরুরি। ততটাই প্রয়োজনীয় মধ্যবয়স পেরিয়ে আসা মহিলাদের। কারণ সেই সময় শরীরে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
কোন কোন খাবারে পটাশিয়াম রয়েছে?
১।ফল: কলা, ফুটি, আম, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল, টম্যাটো, অ্যাভোকাডো, স্কোয়াশে রয়েছে পটাশিয়াম।
২।শাক-সব্জি: শাক পাতা, পাতা আছে এমন সব্জি বা সবুজ রঙের আনাজ যেমন শসা, করোলা, পটল, চিচিঙ্গে, ব্রোকোলিতে রয়েছে পটাশিয়াম।
৩।শিকড়-সব্জি: যে সমস্ত গাছের শিকড় সব্জি হিসাবে খাওয়া হ। যেমন গাজর, বীট, রাঙা আলু, মুলোয় রয়েছে পটাশিয়াম।
৪।মাছ-মাংস-ডিম: পাঁঠার মাংস, মাছ এবং ডিমেও রয়েছে পটাশিয়াম।
৫।দুগ্ধজাত খাবার: দই, দুধ, ছানা, পনির খেলেও তা থেকে পটাশিয়াম মেলে।
৬।ওট্স-খই: ওটসে রয়েছে অনেক পটাশিয়াম। এছাড়া খইয়েও রয়েছে পটাশিয়াম।
৭।বাদাম-শুকনোফল-বীজশস্য: পেস্তাবাদাম, নারকেল, কাঠবাদাম এবং বীজ শস্যেও পাটাসিয়াম রয়েছে।
৮।ডাল শস্য: রাজমা, বিনসের দানা, ডালেও রয়েছে পটাশিয়াম।