ফিটনেস নিয়ে ছেলেখেলা পছন্দ নয় শর্মিলা ঠাকুরের কন্যা সোহা আলি খানের। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চার নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা তাঁর কাছে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতোই। অতীব স্বল্পাহারী এবং সাদামাঠা খাদ্যাভ্যাস সইফ আলি খানের বোনের। তবে তাঁর এই বিধিতে নতুন সংযোজন ঘটল। ইদানীং সোহা দিন শুরু করছেন গ্রিন জুস খেয়ে। সোহার মতে, শরীর ডিটক্স করতে এই পানীয়ের জবাব নেই।
দৈনন্দিন জীবনে একই ধরনের কাজ করতে করতে যেমন মানসিক ক্লান্তি আসে, তেমনই শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিও প্রতিনিয়ত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে। তাদের খানিক বিশ্রাম দিতেই পুষ্টিবিদেরা ‘ডিটক্স’ পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অভিনেত্রী সোহা এমনই এক ডিটক্স পানীয়ের হদিশ দিয়েছেন তার সমাজমাধ্যমের পাতায়। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন বছরের উপহার নিয়ে এলাম। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম গ্রিন জুসের রেসিপি, যা খেয়ে আমি দিন শুরু করি বেশির ভাগ সময়।’’ এটি শুধু ডিটক্স জুস নয়, এই রস নিয়মিত খেলে লিভার ভাল থাকবে, শরীর আর্দ্র থাকবে। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবার, খনিজ পদার্থের জোগান দেবে। তা ছাড়া, এই পানীয় প্রদাহনাশকের কাজও করবে।’’
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
অর্ধেক গাজর
অর্ধেক শসা
২টি সেলেরিপাতার ডাঁটা
১/৪ কাপ ডাবের জল
দেড় টেবিল চামচ ভিজনো চিয়া বীজ
আধ কাপ ড্রাগন ফল
আধ চা চামচ আদাকুচি
এক মুঠো ধনেপাতা
১ মুঠো সেদ্ধ করা অঙ্কুরিত মুগ ডাল
দেড় চা চামচ শণের বীজ
১ মুঠো লেটুস
প্রণালী:
সব উপকরণ একসঙ্গে মিক্সিতে ঘুরিয়ে মিহি করে করে বেটে নিন। এ বার মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিন। যদি দেখেন খুব বেশি ঘন হয়ে গিয়েছে, তা হলে আরও একটু ডাবের জল মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই পানীয় নিয়মিত খেলে কী কী লাভ হয়? সোহা বলেন, ‘‘আমি সাধারণত প্রাতরাশের পর এবং দুপুরে খাওয়ার আগে এই পানীয়টি খাই। এটি খেলে হজম ভাল হয়, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।’’ তবে সকলের শরীর সমান কাজ করবে, এমন নয়। অল্প অল্প করে খেতে শুরু করুন। শরীর কতটা মানিয়ে নিতে পারছে, সে দিকে লক্ষ রাখুন— মত সোহার।