Advertisement
E-Paper

কেমোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রুখতে ন্যাড়া হলেন হিনা! এই থেরাপির পর আর কী কী সমস্যা হয় শরীরে?

কেমোথেরাপির পর শ্বেত রক্তকণিকা কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া, আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তাই কেমো নেওয়ার পর নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৭
কেবল চুল ঝরে যাওয়াই নয়, কেমোথেরাপির রয়েছে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কেবল চুল ঝরে যাওয়াই নয়, কেমোথেরাপির রয়েছে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকটা আতঙ্ক জড়িয়ে আছে ক্যানসার শব্দটির সঙ্গে। এই অসুখের প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি যা জরুরি, তা হল মনের জোর। ক্যানসারের মূলত তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। স্টেজ ১-এ রোগ ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করে ক্যানসার সমূলে বিনাশ করা যায়। কিন্তু অসুখ ছড়িয়ে পড়লে কেমোথেরাপি, সার্জারি ও রেডিয়োথেরাপির সাহায্য নেওয়ার দরকার হয়।

টেলি অভিনেত্রী হিনা খান সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি স্টেজ ৩ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে অভিনেত্রীর। সম্প্রতি হিনা ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি কেমোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে মাথার চুল কামিয়ে একেবারে ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন। ভিডিয়োতে হিনা বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক বার চুলে হাত দেব আর মুঠো মুঠো চুল উঠে আসবে, এই অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে আমি যেতে চাই না! এই কষ্ট থেকে বাঁচতে যা করণীয়, আমি আগে থেকেই তা করে ফেলতে চাই। তাই এই পদক্ষেপ করেছি।’’

কেমোথেরাপিতে ক্যানসারের কোষ ধ্বংসকারী ওষুধ রক্তের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এই ওষুধ দ্রুত বেড়ে ওঠা ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করার পাশাপাশি রক্তের শ্বেতকণিকাকেও বিনষ্ট করে দেয়। শ্বেত রক্তকণিকা কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া, আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তাই কেমো নেওয়ার পর নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কেমোথেরাপির পর কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে রোগীর?

কেবল চুল উঠে যাওয়াই কিন্তু কেমোর একমাত্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়। মেডিক্যাল হিমাটো অনকোলজিস্ট সুদীপ দাস বললেন, ‘‘কেমো থেকে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তাকে মূলত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমো নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা থেকে ১০ দিনের মাথায় দেখা যায়। আবার কিছু উপসর্গ ছ’মাস থেকে এক বছরের পর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

১) বেশির ভাগ কেমোথেরাপির পর রোগীদের প্রাথমিক পর্যায় বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়া, দুর্বলতা, মাথার চুল উঠে যাওয়া, মুখে ঘা হওয়া, ডায়েরিয়া, চামড়ার রং কালচে হয়ে যাওয়া, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা যায়।

২) তবে কেমোর ওষুধগুলির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে তিন মাস, ছ’ মাস বা এক বছর পরে কিছু জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা, ঋতুবন্ধের সময় এগিয়ে আসা, পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম।

Cancer treatment Cancer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy