কালীপুজো-দীপাবলিতে মিষ্টি খাওয়া হবে না, তাই কি আর হয়? এই সময়টাতে ভাজাভুজি, নানা রকম মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া হবেই। লোভ সংবরণ করে থাকাটাই মুশকিল। অনেকেই ভাবেন, দু’একদিন দেদার মিষ্টি খেয়ে নিয়ে পরে আবার ডায়েট করবেন। তাতে লাভ কিছুই হয় না। বরং, ইচ্ছা দমন না করেও স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায়। আলোর উৎসবে পছন্দ মতোই খান, তবে যৎসামান্য কিছু নিয়ম মেনে। তাতে মন ভরবে, শরীরও ঠিক থাকবে। সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ভাজাভুজি খেলে মানতে হবে শর্ত
১) ছাঁকা তেলে ভাজা নিমকি, তেলেভাজা বা যে কোনও ভাজা খাবার একবারে অনেকটা খাবেন না। অল্প করে প্লেটে নিন। খাওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ জল খান। এতে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়ে যাবে। অম্বল হবে না।
২) ভাজাভুজি খাওয়ার পর গ্রিন টি খেতে পারেন। তবে নরম পানীয় একেবারেই নয়। যখন ভাজা খাচ্ছেন, তার সঙ্গে মেয়োনিজ়ের বদলে কিছুটা দই নিয়ে নিন। দইয়ের রায়তাও খেতে পারেন। দইয়ের প্রোবায়োটিক খারাপ কোলেস্টেরল রক্তে জমতে দেবে না।
আরও পড়ুন:
৩) ভাজাভুজি খাওয়ার সঙ্গে আইসক্রিম, মিষ্টি খাবেন না। অনেক সময়ে তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হয়। তখন দই বা ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। এতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা দমন হবে এবং পরে আর বেশি ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছেও করবে না।
৪) ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য অনেকেই এখন পেপার টাওয়েল ব্যবহার করেন। বাড়িতে তা না থাকলে বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার একসঙ্গে রেখেও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
মিষ্টি কী ভাবে খেলে ক্ষতি কম হবে?
১) মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে।
২) দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে ভুলেও নয়।
৩)ভাজা মিষ্টি যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভাল। বাড়িতেই খেজুর, আমন্ড, আখরোট দিয়ে বানিয়ে নিন বরফি। চিনি ও অতিরিক্ত ঘি দেওয়া চলবে না।
৪) ছানা দিয়ে বাড়িতেই সন্দেশ বানিয়ে নিন। এতে শুধু চিনির বদলে মিশিয়ে নিন গুড়।
৫) দীপাবলির দিন একসঙ্গে অনেকগুলো মিষ্টি খেয়ে ফেললে, তার এক ঘণ্টা পরে দই ও ড্রাই ফ্রুটস খেয়ে নিন। এতে রক্তে অতিরিক্ত শর্করা জমতে পারবে না।