শুধু করোনা নয়, অন্যান্য সংক্রমণ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো যাবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কি না তা সময় মতো বুঝতে পারা। ল্যাবে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করানোর পর রিপোর্ট আসতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। বিকল্প কিছু পরীক্ষাব্যবস্থা থাকলেও তার ফলাফল আদৌ কতটা নিখুঁত, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ থাকে। তাই বেশির ভাগ মানুষ সময়সাপেক্ষ পরীক্ষার দিকেই ঝোঁকেন।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেই মুশকিল আসান করতেই এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যাতে ৪ মিনিটেই করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে, এবং সেই ফল পিসিআর টেস্টের রিপোর্টের মতোই নিখুঁত হবে। সম্প্রতি এই উদ্ভাবনের কথা প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামক গবেষণা পত্রিকায়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁদের আবিষ্কৃত এই নয়া পন্থায় অনেক সহজে এবং দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই ৩৩ জনের শরীরে তাঁরা এই পরীক্ষা করেছেন। নমুনায় করোনা ভাইরাস আছে কি না জানার জন্য তাঁরা এক রকমের ‘ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল বায়োসেন্সর’ ব্যবহার করেন। সোয়াবের জেনেটিক মেটিরিয়ালের মাইক্রোঅ্যানালিসিস করে এই বিশেষ বায়োসেন্সর অতি দ্রুত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সন্ধান দিয়ে দেয়। এই পদ্ধতিতে মাত্র চার মিনিট বা তার কম সময়ের মধ্যেই সঠিক ফলাফল জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল পিসিআর টেস্ট। নিশ্চিত হতে, সেই পদ্ধতিতেও ওই ৩৩ জন সাংহাইয়ের বাসিন্দার পরীক্ষা করা হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই রিপোর্ট একই এসেছে। দেখা যায়, ৩৩ জনই কোভিড আক্রান্ত। এ ছাড়া আরও ৫৪ জনের পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা, যাঁরা করোনা আক্রান্ত নন। বায়োসেন্সর তাঁদের নমুনায় ভাইরাসের কোনও হদিশ পায়নি। সুতরাং এই পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে দ্রুত এবং খুব সহজ ভাবেই করোনা পরীক্ষা করা যাবে। এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত সেন্সরটি একটি পোর্টেবল ডিভাইসের মধ্যে নিয়েই কাজ করা যাবে।
শুধু করোনা নয়, অন্যান্য সংক্রমণ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি কাজে লাগানো যাবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy