ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজলেন। তার পর সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুয়ে ফেললেন। যত দামি মাজনই ব্যবহার করুন না কেন, নেটপ্রভাবীরা বলছেন, তাতে নাকি কোনও লাভই হবে না। বেশ কিছু দিন যাবৎ সমাজমাধ্যমে তেমনই সব ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি।
মাজনের মধ্যে ফ্লুয়োরাইড নামক বিশেষ একটি উপাদান থাকে, যা মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করতেও সাহায্য করে। ভিডিয়োয় বলা হয়েছে, মাজনের মধ্যে থাকা ওই উপাদানটি মুখের ভিতর কাজ শুরু করতে একটু বেশি সময় লাগে। দাঁত মাজা থেকে ধুয়ে ফেলা পর্যন্ত যে সময়টুকু লাগে, তা ফ্লুয়োরাইডের কাজ করার জন্য যথেষ্ট নয়। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালের দন্ত্যচিকিৎসক রাঘবেন্দ্র বি আর বলেন, “তথ্যটি একেবারেই সঠিক। দাঁত মাজার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ ধুয়ে ফেললে তার সঙ্গে ফ্লুয়োরাইডও ধুয়ে বেরিয়ে যায়। দাঁতের সুরক্ষায় তা কোনও ভাবেই কাজ করতে পারে না। দাঁতে যত ক্ষণ পর্যন্ত ফ্লুয়োরাইড রেখে দিতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে লাভ তত বেশি।”
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁত মাজার পর মুখে যদি অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়, তা ফেলে দিয়ে অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের দন্ত্যচিকিৎসক সুমন যাদব বলেন, “মুখের মধ্যে যে অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তা দাঁতের রক্ষাকবচ অর্থাৎ এনামেলের পরত নষ্ট করে দেয়। এই ফ্লুয়োরাইড হল এমন একটি খনিজ, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। তবে শুধু মাজনই নয়, ফ্লুয়োরাইড-যুক্ত মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করার পরেও মুখ ধোয়া উচিত নয়।”
দাঁতের যত্নে আর কী কী করা যেতে পারে?
১) দিনে অন্তত পক্ষে দু’বার ব্রাশ করতে হবে। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পরে জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করে ফেলতে হবে।
২) ফ্লসিং করার অভ্যাস থাকলে আরও ভাল। দাঁতের খাঁজে খাবারের টুকরো জমে থাকলে তা সহজেই উঠে আসে।
৩) মুখগহ্বরের ভিতর আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। না হলে ব্যাক্টেরিয়া সহজেই দাঁতের ফাঁকফোকরে বাসা বেঁধে ফেলবে।