শীত হোক বা গ্রীষ্ম— কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময়ে অনেকেরই ভরসা ইসবগুলের ভুসি। রাতের খাবার খাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য এই ভুসি ভিজিয়ে খেলে সকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শৌচাগারে বসে থাকতে হয় না। এই ভেষজের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। জলে ভিজে এই ভেষজ আরও ফুলে ওঠে, পিচ্ছিল হয়ে যায়। পেটের নানাবিধ ব্যামো সারাতে এই ভেষজের ব্যবহার বহু পুরনো। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। তবে, পেট ভাল রাখা ছাড়াও এই ভেষজের আরও অনেক কাজ রয়েছে। খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানলে তবেই পাবেন উপকার।
কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে: শীতকালে ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া লেগেই থাকে। আর তাতেই বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এই সমস্যা কমাতে রাতে শোয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জল বা দুধে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে হবে।
বদহজম দূর করতে: ইসবগুলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার। যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। পেটফাঁপা কিংবা গ্যাস্ট্রোএনটেস্টিন্যাল কোনও উপসর্গ থাকলেও সারবে ইসবগুলের গুণে। বদহজমের সমস্যা দূর করতে হলে ঠান্ডা দুধে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে হবে।
ওজন কমাতে: শীতকালে অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে যদি ঈষদুষ্ণ জলে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন, তা হলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
ডায়েরিয়া কমাতে: পেটখারাপ কিংবা ডায়েরিয়ার সমস্যায় ভুগলেও ভরসা রাখতে পারেন ইসবগুলের উপর। এ ক্ষেত্রে জল নয়, টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেতে হবে। দই আর ইসবগুলের মিশ্রণ পেটের ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলির সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য় করে, মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য় বজায় রাখে।
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে: খাবারের পর জলের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে তা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করতে এবং খাওয়ার পরবর্তী সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর জন্য খাওয়ার পর পরই ঈষদুষ্ণ জলে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে।