ফল খেলেই অম্বল হয় কেন? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ওজন ঝরানোর জন্য অনেকেই ডায়েটে নিয়মিত ফল রাখছেন। ওজন ঝরানোই হোক বা শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে— পুষ্টিবিদরা রোজের খাবারে বেশি করে ফল রাখার পরামর্শ দেন সব সময়ই। কিন্তু ফল খাওয়া নিয়েও নানারকম বিধিনিষেধ আছে। অনেকে বলেন, রাতে ফল খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। কারও বা ধারণা, খালি পেটে ফল খেলেই অম্বলের প্রকোপ বাড়ে। অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা দিনের যে সময়েই ফল খান না কেন, খেলেই বদহজম হয়ে যায়। কী ভাবে ফল খাওয়ার পর পুষ্টিগুণ পাবেন সবচেয়ে বেশি, আর হজমও ভাল হবে, রইল সেই হদিস।
ফল খাওয়ার পর জল খেয়ে ফেললেই হবে গোলমাল। ছবি: সংগৃহীত।
১) স্ট্রবেরি, কমলালেবু, বেদানা বা আপেলের মতো অ্যাসিড জাতীয় ফলের সঙ্গে কলা, খেজুর, কিশমিশ জাতীয় মিষ্টি ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এই দু’ধরনের ফলের পিএইচ মাত্রা ভিন্ন হওয়ায় হজমে সমস্যা হয়। অনেকেই দইয়ের সঙ্গে ফল খেতে ভালবাসেন। যাঁদের অম্বলের সমস্যা আছে, তাঁরা এমনটা করলে বদহজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
২) ফল খাওয়ার পর জল খেয়ে ফেললেই হবে গোলমাল। জল আর খাবার একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে হজমের প্রক্রিয়া খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ যে সব পদার্থ খাবার হজম করতে সাহায্য করে, তা কিছুটা কমজোর হয়ে পড়ে জলের সঙ্গে মিশলে। ঠিক সে কারণেই বেশি জল যে সব ফলে রয়েছে, তা খাওয়ার পর আলাদা করে জল না খাওয়াই শ্রেয়। এতে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। যেমন লেবু, শসা, তরমুজের মতো ফল খাওয়ার পরেই জল খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ডায়ারিয়ার সমস্যাও হতে পারে।
৩) ফলের বদলে অনেকেই ফলের রস করে খেতে ভালবাসেন। তবে এতে ফলের পুষ্টিগুণ কমে যায়। ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে হলে গোটা ফল খাওয়াই ভাল।
৪) পেট ভরে খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত। তা না হলে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে।
৫) ফলের থেকে বেশি ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে ফলের খোসায়। অনেকেই খোসা ছাড়িয়ে ফল খান। আপেলের খোসায় ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ থাকে। তাই আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy