‘সিরোসিস অফ লিভার’ হয়েছে কি না, বুঝবেন কী করে? প্রতীকী ছবি।
‘সিরোসিস অফ লিভার’ শব্দবন্ধটি ক্যানসারের চেয়ে কোনও অংশে কম আতঙ্কের নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ ক্যানসারের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, এই রোগ সহজে ধরা পড়ে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতটা দেরি হয়ে যায় যে তখন আর কিছু করার থাকে না। তবে শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে, তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যা কখনওই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
১) জন্ডিস
জন্ডিস খুবই পরিচিত একটি অসুখ। এই অসুখে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। লিভার থেকে নিঃসৃত হওয়া সবজে-হলুদ রঙের পিত্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়। লিভারে ক্ষত তৈরি হলে লিভার শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। সাধারণ ভাবে জন্ডিস হলে বিশেষ চিন্তার তেমন কিছু নেই। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে লিভারের জটিল সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
২) ক্লান্তি এবং অবসাদ
শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। লিভারের কার্যকারিতা ঠিক মতো না হলে, তার প্রভাব পড়ে বিপাকক্রিয়ার উপর। এই বিপাকক্রিয়ার ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে শরীর দুর্বল লাগে, অল্প পরিশ্রমেও ক্লান্তি গ্রাস করে। এমন সমস্যা দেখা দিলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৩) পেটের উপর দিকে ব্যথা
দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের অসুখ থাকলে পেটে তরল জমা হয়ে পেট ফুলে যেতে পারে। সেখান থেকে পেটে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। লিভারে জল জমে আকারে বড় হয়ে গেলে তা আশপাশে থাকা অন্যান্য প্রত্যঙ্গকে চাপ দেয়, তখন ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৪) শরীরের ভিতর রক্তক্ষরণ
হঠাৎ যদি মলের সঙ্গে বা বমির সঙ্গে রক্ত বেরোয়, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সিরোসিস অফ লিভারে আক্রান্ত হলে শরীরের অভ্যন্তরে শিরা-উপশিরা, রক্তবাহিকাগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
৫) হেপটিক এনসেফালোপ্যাথি
লিভার ঠিক মতো কাজ না করলে, শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ রক্তবাহিকার মধ্যে এসে জমতে থাকে। সেই দূষিত পদার্থ মিশ্রিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছলে স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। তখন স্মৃতিভ্রম, সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা, কোনও কাজে মন দিতে না পারার মতো সমস্যা দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy