সারা সপ্তাহ কাজের চাপ। আর সপ্তাহান্তে মন হালকা করতে মদ্যপানের আশ্রয় নেন অনেকেই। আবার ইচ্ছে না থাকলেও বন্ধুদের অনুরোধে সপ্তাহান্তে পার্টিও করতে হয়। ফলে সপ্তাহের শেষে অনেকেই অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকেন। সময়ের সঙ্গে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে।
মনোবিদেরা জানিয়েছেন, শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ না করলে এই অভ্যাস শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি তা কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনেরও ক্ষতি করতে পারে। সপ্তাহান্তে মদ্যপানের অভ্যাস আসক্তি তৈরি করতে পারে। আবার প্রথমে যা শনিবার বা রবিবারের ঘটনা হিসেবে শুরু হয়, পরবর্তী সময়ে অনেকেই সপ্তাহের অন্য দিনগুলিকে মদ্যপানের জন্য বেছে নেন। সপ্তাহান্তে মদ্যপানে রাশ টানতে কয়েকটি পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) সপ্তাহান্তে ক’পাত্র মদ্যপান করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া উচিত। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তা অতিক্রম করা উচিত নয়। প্রয়োজনে ফোনে মাসের চারটে সপ্তাহে কতটা মদ্যপান করছেন, তা লিখে রাখা যায়। তার ফলে মদ্যপানের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হবে।
২) এক পাত্র মদ খাওয়ার পরে এক গ্লাস জল পান করে নেওয়া যেতে পারে। তার ফলে পেট ভর্তি থাকবে। পরবর্তী পাত্র শেষ করেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। সব মিলিয়ে দেখা যাবে মদ্যপানের পরিমাণ কমেছে।
৩) খালি পেটে মদ্যপান করা উচিত নয়। মদ্যপানের আগে হালকা কোনও খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। তার ফলে পেট ভর্তি থাকবে। ফলে বেশি মদ্যপানের প্রবণতা তৈরি হবে না।
৪) বন্ধুরা জোর করলেও বাড়তি মদ খাওয়া উচিত নয়। তাদের আপনার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই জানিয়ে রাখা উচিত। তার ফলে তাদের সঙ্গে সময় কাটালেও মদ্যপান মাত্রা অতিক্রম করবে না। প্রয়োজনে ধীর গতিতে মদ্যপান করা যেতে পারে। আবার এমন কোনও রেস্তরাঁ বা ক্যাফেতে যাওয়া উচিত, যেখানে মদ পরিবেশন করা হয় না।
৫) সপ্তাহান্তে সন্ধ্যায় মদ্যপানের পরিবর্তে অন্য কোনও সময় কাটানোর মাধ্যম খোঁজা উচিত। পরিবারের সঙ্গে সিনেমা দেখা বা নিজে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। তাতে মনের মধ্যে মদ্যপানের ইচ্ছা জন্মাবে না।
৬) সপ্তাহান্তে মদ্যপানের পরবর্তে চা বা কফির অভ্যাস করা যেতে পারে। যে সময়ে মদ্যপানের ইচ্ছা বাড়বে, তখন চা বা কফি পান করলে মদ্যপানের ইচ্ছা প্রশমিত হতে পারে।
৭) অনেকেই বাড়িতে এখন স্কচ, হুইস্কি, রাম, ভদকা— বিভিন্ন ধরনের মদ কিনে রাখেন। যাঁরা বাড়িতে একা মদ্যপান করতে পছন্দ করেন, তাঁদের মদের বোতল কিনে রাখার অভ্যাস বন্ধ করা উচিত। বাড়িতে মদ না থাকলে সপ্তাহান্তে খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।